শিরোনাম
◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৫২ সকাল
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আর রাজী: একাধিক বিয়ে করে জেল এড়াতে চাইলে যে আইন মানতে হবে

আর রাজী: প্রথম কথা, আকাশ বাতাস সাক্ষী রেখে একাধিক বিবাহ করা যায় না। বিবাহর কথা গোপন রাখতে হেকমত খাটানোর কোনো সুযোগ আইন রাখে নাই। আমাদের মুসলিম পারিবারিক আইন-১৯৬১তে পুরুষের একাধিক বিয়ে করা নিয়ে যা বলা আছে: ‘বহু বিবাহ’ :

[১] সালিশি পরিষদের লিখিত পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি একটি বিবাহ বলবৎ থাকলে আরেকটি বিবাহ করতে পারবে না এবং পূর্ব অনুমতি গ্রহণ না করে এই জাতীয় কোনো বিবাহ হলে তা মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন, ১৯৭৪ (১৯৭৪ সনের ৫২নং আইন) অনুসারে রেজিস্ট্রি হবে না। [২] উপ-ধারায় বর্ণিত অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফিসসহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে এবং আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত বিবাহের কারণ এবং বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের সম্মতি নেওয়া হয়েছে কিনা, তা উল্লেখ করতে হবে।

[৩] উপরোক্ত ২. উপ-ধারা মোতাবেক আবেদনপত্র পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান আবেদনকারী এবং বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের প্রত্যেককে একজন করে প্রতিনিধি মনোনয়ন করতে বলবেন এবং এইরূপে গঠিত সালিশি পরিষদ যদি মনে করেন যে, প্রস্তাবিত প্রয়োজন ন্যায়সঙ্গত, তাহলে কোনো শর্ত থাকলে তার সাপেক্ষে, প্রার্থিত বিবাহের অনুমতি মঞ্জুর করতে পারেন।

[৪] আবেদনটি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় সালিশি পরিষদ সিদ্ধান্তের কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করবেন এবং যেকোনো পক্ষ, নির্দিষ্ট ফিস জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট মুন্সেফের কাছে রিভিশনের (জবারংরড়হ) জন্য আবেদন দাখিল করতে পারবেন এবং সালিশি পরিষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে এবং কোনো আদালতে এর বৈধতা সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

[৫] সালিশি পরিষদের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তাকে-(ক) অবিলম্বে তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের ‘তাৎক্ষণিক’ অথবা ‘বিলম্বিত’ দেনমোহরের (Prompt or deferred dower) যাবতীয় টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং উক্ত টাকা পরিশোধ করা না হলে তা বকেয়া ভূমি রাজস্বের ন্যায় আদায়যোগ্য হবে। (খ) অভিযোগক্রমে দোষী সাব্যস্ত হলে সে এক বৎসর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। দ্বিতীয় জরুরি কথা হচ্ছে, বিয়ে নিবন্ধিত না হলে বরকে শাস্তি পেতেই হবে।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন ১৯৭৪-এ নিকাহ নিবন্ধনের যে আইন আছে তাতে বলা হয়েছে, যদি কাজী সাহেবের উপস্থিতিতে বিয়ে হয় তাহলে কাজি সাহেবকেই তা অনতিবিলম্বে রেজেস্ট্রি করতে হবে। আর যদি নিবন্ধক (কাজী) উপস্থিত না থাকেন তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে পাত্র বা বরকে রেজেস্ট্রি করতে হবে। যদি বর বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যে  তার বিয়ে নিবন্ধিত না করেন, তাহলে আইন ভঙ্গের অপরাধে বরকে দুই বছর পর্যন্ত জেল বা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা একইসঙ্গে দুটি দণ্ডই দেওয়া যেতে পারে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়