শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৮ রাত
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন অতপর: অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার

জিএম মিজান: জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করে তথ্য দেওয়ায় বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশ ছয় ঘন্টার মধ্যে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। অপহৃত ব্যক্তির নাম আবু জামান খন্দকার ওরফে আরজু (৪৮)। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ বগুড়া গ্রাম থেকে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উদ্ধারকৃত ব্যক্তি সীমাবাড়ী ইউনিয়নের সদর হাঁসড়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে। উক্ত ঘটনায় ভূক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা যায়, সদর হাঁসড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের পাঁচ বিঘা ফসলি জমির মাটি কাটছেন পাশের ভবানীপুর ইউনিয়নের মাটি-বালু ব্যবসায়ী জহুরুল হক। অসংখ্য ড্রাম ট্রাকে এসব মাটি পরিবহনের কারণে গ্রামের মানুষের চলাচলের সড়ক বেহাল হয়ে পড়ে। এতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কাছে বিষয়টি মোখিকভাবে অভিযোগ করেন। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার (০৮এপ্রিল) দিবাগত রাত অনুমান পৌনে ১১টায় ওইসব ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা শুরু করলে স্থানীয় এলাকাবাসী বাধা দেয়।

স্থানীয়দের বাধার মুখে একপর্যায়ে মাটি কাটা বন্ধ করে মাটি-বালু দস্যুরা চলে গেলেও গ্রামবাসী জামাল খন্দকার ওরফে আরজুকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে চরম বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার ভোররাতে স্থানীয় একটি ইটভাটায় যাওয়ার পথে জামাল খন্দকারকে অপহরণ করেন মাটিদস্যু জহুরুল হক ও তার লোকজন। সেইসঙ্গে বেধড়ক মারপিট করে তাকে খোদ্দর্ বগুড়া গ্রামস্থ বসতবাড়ির একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। একই সঙ্গে অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের নিকট মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এরপর ঘটনাটি জানতে পেরে গ্রাম্য মাতব্বর মুকুল হোসেন জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সব তথ্য দেন। এরপর অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে অপহৃত হওয়ার ছয় ঘন্টা পর তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ভূক্তভোগী জামাল খন্দকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদক-কে বলেন, তাকে মেরে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল মাটিদস্যু জহুরুল বাহিনীর সদস্যরা। এজন্য তাকে বেধড়ক মারপিট করেছে। নানা কৌশলে মুক্তিপণ হিসেবে প্রায় ৬৫হাজার টাকাও লুটে নেওয়া হয়েছে। এরপরও তাকে প্রাণনাশের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সময়মত পুলিশ উপস্থিত না হলে তাকে মেয়ে লাশ গুম করা হতো বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে অভিযুক্ত জহরুল হক এসব অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেন। তবে ফসলি জমির মাটি কাটা নিয়ে জামাল খন্দকার ও গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে তার দ্বন্দ তৈরী হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদক-কে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়