ডেস্ক নিউজ : শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের পর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে জেলার বিভিন্ন থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের অন্যান্য স্থাপনায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি থানা, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পে ইতোমধ্যেই জনবল বৃদ্ধিসহ পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) রইছ উদ্দিন বলেন, হেফাজতে ইসলাম যে তাণ্ডব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালিয়েছে,তাই পুরো শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি পুলিশের স্থাপনাগুলোতেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেন পুলিশের স্থাপনাগুলো আক্রান্ত না হয়। কারণ পুলিশ আক্রান্ত হলে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে বলে জানান তিনি।
এলএমজি চেকপোস্ট স্থাপন করা থানাগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা, আশুগঞ্জ, সরাইল, নাসিরনগর, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর।
পুলিশ ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রগুলো হলো- ১নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ২নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ি, ধরখার পুলিশ ফাঁড়ি, চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্র, আউলিয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্র।
ছয়টি পুলিশ ক্যাম্প- সার কারখানা পুলিশ ক্যাম্প, পিডিবি পুলিশ ক্যাম্প, টোলপ্লাজা পুলিশ ক্যাম্প, শিবপুর পুলিশ ক্যাম্প, ছলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প, চম্পনগর পুলিশ ক্যাম্প।
এছাড়া জেলা পুলিশ লাইন্সে চারটি ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটিসহ মোট ২৭টি এলএমজি চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা পোস্টে আধুনিক ও ভারি অস্ত্রসহ প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে।
এর আগে সিলেটের ১৭টি থানাসহ পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এবং নারায়ণগঞ্জের সব থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোতে ২০টি এলএমজি পোস্ট স্থাপনের তথ্য জানিয়েছে স্ব স্ব জেলা পুলিশ। সূত্র: জাগো নিউজ, বিডি টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :