রিয়াজুর রহমান :[২] জেলার ফটিকছড়ির ভূজপুরে ছাত্রলীগের হরতালবিরোধী মিছিলে পরিকল্পিতভাবে হামলা ও তাণ্ডবের বিচার শেষ করা হয়নি আট বছরেও। এঘটনায় দলীয় তিন নেতা হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
[৩] এছাড়া এ হত্যাকান্ডে মূল আসামিদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
[৫] রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা ও প্রশ্রয়ে মামলার আসামিরা পার পেয়ে যাচ্ছে। ভূজপুর তাণ্ডবের মূল পরিকল্পনাকারী আসামি রাজাকার পুত্র ইকবাল, মোল্লা জালাল ও তৌফিককে মূল চারটি মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে।
[৬] শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তাণ্ডবে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফারুক ইকবাল বিপুলের স্ত্রী সানজিদা আরফিন নিসু।
[৭] এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহত যুবলীগ নেতা ফোরকানের বোন এই এ্যানি আকতার, মা ফেরদৌস বেগম, পিতা এজাহার মিয়া, নিহত ছাত্রলীগ নেতা রুবেলের মা শামসুন নাহার, ভাই শহিদুল আলম।
[৮] সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফারুক ইকবাল বিপুলের স্ত্রী সানজিদা আফরিন নিসু আরো বলেন, ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় জামায়াত-শিবির ।
[৯] মিছিলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেবক লীগের নেতা ফারুক ইকবাল বিপুল, উপজেলা যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফোরকান ও ছাত্রলীগ কর্মী মো রুবেল কে। এ ঘটনায় আহত হয় তিন শতাধিক নেতাকর্মী যাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
[১০] এসময় গাড়ি মিছিলে হামলা চালিয়ে ফারুক ইকবাল বিপুল (৩৯), মো. রুবেল (২২) ও মো. ফোরকান উদ্দিনকে (২৭) পিটিয়ে হত্যা করে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা।
[১১] হামলায় আহত হয় দু’শতাধিক ব্যক্তি। তাণ্ডবে মোটর সাইকেল, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ দুইশ এর অধিক গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
[১২] তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মূল আসামি ও পরিকল্পনাকারীদের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মূল আসামিদের বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দেওয়ার কারণে নারাজি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই মামলা পিবিআইয়ে তদন্তাধীন রয়েছে ।
[১৩] জানা গেছে , তাণ্ডবের ঘটনায় ভূজপুর থানায় ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের ১১ জুন নিহতদের পরিবারের দায়ের করা তিনটি মামলার চার্জশিট চট্টগ্রাম আদালতে দাখিল করে পুলিশ। এই ৩টি মামলা বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে।
[১৪] সরকারি সম্পদ ধ্বংস ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার দায়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দায়ের করা দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার অনেকে জামিনে এসে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :