কূটনৈতিক প্রতিবেদক:[২] ঢাকা সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে করেন।
[৩] বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জন কেরি বলেন, জলবায়ু ইস্যুতে স্টেক হোল্ডারদের সম্মিলিত ভূমিকা রাখতে হবে।
[৪] ড. মোমেন বলেন, টেকনোলজি, নবায়ন যোগ্য জ্বালানি, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
[৫] এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ শুক্রবার সাড়ে ১১টায় দিল্লি থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে ঢাকা আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরি।
[৬] বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
[৭] বিকেল চারটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে যাবেন জন কেরি। ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে জো বাইডেনের দেওয়া লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন।
[৮] মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে আগামী ২২-২৩ এপ্রিল এবারের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন ভার্চুয়ালী অনুষ্ঠিত হবে। ৪০ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের এরই মধ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি।
[৯] ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এর চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু সম্মেলনে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার পাশাশি প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি ডলারের বৈশ্বিক তহবিল গঠন ও কার্বন নিঃসরণে প্রতিটি দেশ যেন তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবয়ন করে সে আহ্বান জানাবে বাংলাদেশ।
[১০] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভঙ্গুর দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের অনেক অর্জনও আছে। বিভিন্ন দেশ আমাদের জলবায়ু নিয়ে অর্জনগুলো জানতে চায়।
[১১] জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে পাশে চায় উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জন কেরি’র ঢাকা সফর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করবে।
[১২] ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলার্সের এশিয়া কর্মসূচির উপপরিচালক ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট কুগেলম্যান বলেন, ভারত-চীনসহ স্পষ্টতই বাংলাদেশে একটি প্রতিযোগিতা চলছে।
[৩০] পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলগত পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছে দেশটির নতুন প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :