ইমরুল শাহেদ: ৩ এপ্রিল পিতা জাহিদ হোসেনকে হারানোর পর মডেল, উপস্থাপক ও অভিনেত্রী সোনিয়া হোসেন অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছেন। তার থেকে উত্তরণের মন মানসিকতা এখনও তার মধ্যে তৈরি না হলেও তার স্বামী এবং তিনি মিলে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘সোনিয়াক’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের নাটক ও সিনেমা নিয়ে আমি খুব হতাশ ছিলাম। নিজের চিত্রনাট্য দিয়ে কনটেন্টস এবং তথ্যচিত্র নির্মাণ করব নিজের চ্যানেলের জন্য। সবে মাত্র নিপুণ ও অপু বিশ্বাসকে নিয়ে দুটো কাজ করলাম, তারপরই শুরু হয়ে গেল কোভিড মহামারির ছুটি। মার্চ পুরোটাই আমরা বাসায় ছিলাম। আমাদের ছোট একটা টিম আছে। তাদের নিয়েই ছোট ছোট কনটেন্টস তৈরির কাজ শুরু করলাম। এর মধ্যে রয়েছে কবিতা আবৃত্তি, নাচ-গান এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।’ যাহোক তারপর আমি ঘরে বসেই একটা কাজ করলাম। ঘরে থাকুন প্রচারণার অংশ হিসেবে হলিউড, স্পেন ও পাকিস্তানের শিল্পীদের নিয়ে ‘স্টে হোম স্টে সেফ’ নামে সাড়ে তিন মিনিটের একটা কাজ করলাম।’
তিনি জানান, ইতোমধ্যে গত এক বছরে তিনি ৯০টি কনটেন্টস তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পরও গত সাত তারিখে দুটি মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করলাম উঠতি গায়িকা অনন্যা সাত্তারকে নিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো মুক্তি দেওয়া হবে। টিম, স্বামী ও পরিবারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাদের অনুপ্রেরণা না থাকলে আমি হয়তো এতোটা এগুতে পারতাম না।’
তিনি বলেন, ‘এরপর এপ্রিল মাসে শুরু করলাম ‘বি মাই গেস্ট’ নামে একটি অনুষ্ঠান। তাতে আন্তর্জাতিক তারকাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে চিত্রগ্রাহক, পরিচালক, লেখক ও অভিনেতাদের গল্প বলা হয় এবং তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় বাংলাদেশের গল্প। আমার কাছে মনে হচ্ছিল, এই মিডিয়াতে থেকে এবং কোভিডে ঘরে বসে আমার শৈল্পিক ও বুদ্ধিদীপ্ত মেধার কোনোই বিকাশ বা উন্নতি হচ্ছিল না। সত্যি কথা বলতে গেলে আমি হতাশা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই জুলাই পর্যন্ত চ্যানেলের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।’
তিনি জানান, ২০২০ সালের শেষ দিকে আমার সোনিয়াক ফিল্মসের যাত্রা শুরু করতে আমি ক্যামেরা লাইটের পুরো সেট কিনে নিয়েছি। ২০২১ সালে সত্যি আমার মনে হলো আমি হতাশা কাটিয়ে উঠেছি।
আপনার মতামত লিখুন :