মেহেদী হাসান: একবছরেরও বেশি সময় ধরে শিশু-কিশোররা আটকে আছে ঘরের মধ্যে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাইরের প্রায় সব আয়োজনই বন্ধ রয়েছে। একসময় মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবসহ যে গ্যাজেটগুলো ছিলো আকর্ষণীয় সেগুলোও লাগছে একঘেয়ে। অধিকাংশ শিশু-কিশোরই হয়ে উঠেছে খিটখিটে। বাবা-মা হিমসিম খাচ্ছে তাদের সামাল দিতে। সহজ কিছু উদ্যোগ নিলেই অবিভাকরা পেতে পারেন সমাধান।
[১] মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে শিশু-কিশোরদের কথা।
[২] তাদের সাথে গল্প করতে হবে। আর প্রতিটি গল্পের কোন একটি মূল চরিত্রে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
[৩] কোন কিছু করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাবে না, বরং বিকল্প তুলে ধরতে হবে। যেমন; প্যান্ট পরার জন্য নির্দেশ না দিয়ে বলতে হবে কোন প্যান্টটা পরবে? লাল না কালো? সে একটি বিকল্প বেছে নেবে। তার যে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তাকে স্বীকৃতি দিলে সে খুশি হয়ে শুনবে আপনার কথা।
[৪] সন্তান কোন কারণে খুব রেগে গেলে তাকে পাল্টা ধমক দেয়া বা বুঝানোর চেষ্টা করা উচিৎ হবেনা, বরং নাটকীয় কোন কিছু করে তার মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। যেমন ঘরের লাইট অন-অফ করা, গান গাওয়া, নাচতে শুরু করা কিংবা তার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে তার পছন্দের কোন গল্প বা ঘটনা বলা।
[৫] কার্যকর উপায়ে সময় কাটাতে হবে শিশুর সাথে। বাজারের খেলনা না কিনে প্রতিদিনই শিশুকে সাথে নিয়ে ঘরে থাকা কাগজসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়েই খেলনা বানালে বেশি খুশি হবে।
[৬] শিশু-কিশোরদের রান্নার কাজে যুক্ত করতে হবে। এতে তারা আনন্দও পাবে আবার পরিমাপ সম্পর্কেও ধারণা পাবে। ইন্টারনেটের ব্যবহার করে ফটোগ্রাফি, সঙ্গীত, বাদ্যযন্ত্র, ভাষা শিক্ষাসহ সৃজনশীল বিভিন্ন কাজে তাকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
[৭] কোন নিয়ম চাপিয়ে দেবেন না। তাদের সাথে আলোচনা করেই তার নিজের নিয়ম তৈরি করুন ও তা তাকে দিয়ে লিখিয়ে রাখুন।
[৬] শিশুদের গয়ে হাত তোলা যাবেনা কোন অবস্থাতেই। কখনো যদি আপনি খুব বেশি রেগে যান, কিছু সময়ের জন্য শিশুকে অন্য কারো কাছে রেখে নিজে আলাদা করে সময় কাটান। নিজেকে শান্ত করুন, ভাবুন নিজের সীমাবদ্ধতা নিয়ে। কারণ আপনার রাগের উৎস শিশু নয়। অন্যকোন কারণে রাগ করে তা সন্তানের সাথে প্রকাশ করা যাবে না।
[৭] প্রতিজ্ঞা করুন শিশুর সামনে কখনোই দাম্পত্য কলহে লিপ্ত হবেন না। শিশুর সামনে বাবা-মা পরস্পরকে অপমান করলে তার নেতিবাচক প্রভাব খুবই ভয়াবহ। সম্পাদনা : রাশিদ
প্যারেন্টিং বিশেষজ্ঞ মারিসা পীরের লেখা অবলম্বনে।
আপনার মতামত লিখুন :