শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৫ দুপুর
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:২৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনাকে মানিয়ে চলে স্বাভাবিক জীবনযাপনে মনোনিবেশ করা উচিত

কামরুল হাসান মামুন : বোঝাই যাচ্ছে এই প্যান্ডেমিক থেকে সহসা আমাদের মুক্তি নাই। গতকালও ব্রাজিলে এক দিনে ৪০০০ মানুষ করোনায় মারা গেছে। ডেইলি মৃত্যুর সংখ্যা এবং আক্রান্তের সংখ্যা বাংলাদেশেও দ্রুত বাড়ছে। আইসিডিআরবির এক গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল খুবই দুশ্চিন্তার উদ্রেককারী। এইবার আক্রান্তরা দক্ষিণ আফ্রিকার ভারিয়ান্টস দ্বারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা আগে থেকেই জানি এই ভ্যারিয়ান্টসের বিরুদ্ধে এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন তেমন একটা কার্যকর না এবং সেইজন্যই সম্ভবত টিকা যারা তারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের সরকারের উচিত গেবষণা করে দেখা টিকা নেওয়াদের কত শতাংশ এইবা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
যাহোক যেহেতু করোনা খুব সহসা যাওয়ার জন্য আসেনি তাই এর সাথে কিভাবে মানিয়ে চলে যথাসম্ভব স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় আমাদের সেই দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। আপাতত ট্রেন্ড যেহেতু উর্ধগতি এবং ইতিমধ্যেই করোনা স্বাস্থ্যসেবা সংকটে তাই এই মুহূর্তে বেঁচে থাকার জন্য যথাসম্ভব ঘরেই থাকতে হবে। আমি সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় আছি আমাদের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে। কিছুদিন আগে এক সংবাদে দেখেছিলাম আমাদের ইন্টারনেট গতি দক্ষিণ এশিয়াতো বটেই উগান্ডার ইন্টারনেট গতি থেকেও অনেক কম অথচ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং করে bragging করি।
সরকারের উচিত অতি শীঘ্র ইন্টারনেট গতি বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া যাতে আমাদের ছেলেমেয়েরা অনলাইন ক্লাস নির্বিঘ্নে চালাতে পারে। এছাড়া ইন্টারনেট প্যাকেজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ ছারে দেওয়ার ব্যবস্থা অতি জরুরি। আমার মতে এই ক্ষেত্রে সরকারি মোবাইল টেলিটককে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে দ্রুত গতিসম্পন্ন এবং সময়োপযোগী করার বিকল্প নেই। এই ব্যবস্থাটা একদম গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত করা উচিত।
তাছাড়া স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরো টেক ফ্রেন্ডলি হতে হবে। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারত। অথচ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারাই বরং যোজন যোজন পিছিয়ে। এই ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেতনের নিরাপত্তাই দায়ী বলে মনে হয়। আমরা ক্লাস নেই বা নেই মাস শেষে বেতনের নিরাপত্তা আমাদেরকে সকল ক্ষেত্রেই অলস অকর্মন্য বানিয়ে দিচ্ছে। তুলনা করলে ব্র্যাক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বরং এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। তাদের অগ্রযাত্রাকে বরং আমাদের ইউজিসি থামিয়ে দিয়েছে। আমাদের ইউজিসি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে তারা যেন অনলাইন পরীক্ষা না নেয়। আমি মনে অনতিবিলম্বে এই নির্দেশনা তুলে নেওয়া উচিত। আমাদের উচিত দ্রুত কিভাবে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনায় জড়িত রাখা যায় সেই কাজে মনোনিবেশ করা। নতুবা বাড়িতে বসে অলস বসে থাকতে ঠকাতে তারা ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়