আরিফ জেবতিক: তথাকথিত শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানিকে আলেম সমাজ অথবা প্রফেশনাল ওয়াজিয়ানরাও তেমন গুরুত্ব দেন বলে মনে হয়নি। তার বিদ্যাবুদ্ধি খুব একটা প্রখর বলে মনে হয় না। তার উত্থান হয়েছিলো শিশু বক্তা চার্ম নিয়ে। ছোট শিশুরা পাকনা পাকনা কথা বললে লোকজন যেমন পুলকিত হয়, কয়েক বছর আগে থেকে তার হাইপটা সেখানে ছিলো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার সেই হাইপ শেষ হয়ে গেছে, তিনি যে একজন শারিরীকভাবে চ্যালেঞ্জড মানুষ, শিশু শরীরে আটকা পড়া বয়স্ক মানুষ এটা পরিস্কার হয়ে গেছে। তিনি এখন জনপ্রিয় হওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন উগ্র সরকার বিরোধিতা।
সরকারের বিরোধিতা করা অপরাধ নয়, কিন্তু তিনি যেভাবে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করেন, সেটি পরিষ্কার রাষ্ট্রদ্রোহিতা। এমনকি গ্রেফতার হওয়ার রাতেও তিনি ফেসবুক লাইভে বলেছেন, মুরতাদ সরকারকে অপসারণ করতে যেকোনো পন্থা অবলম্বন করতে হবে। সেখানে তিনি সশস্ত্র বাহিনীকেও ক্ষমতা নিতে প্রলুব্ধ করেছেন। এই পর্যায়ে এসে হেফাজত যে দেশে একটা বড় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির জন্য পরিকল্পিত ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, সেটাকে রাজনৈতিকভাবে দেখতে হবে। যদি তাফসীর মাহফিল হয়, যদি ইসলামি জলসা হয় সেগুলো এক জিনিস কিন্তু এসবের ছদ্মাবরণে যদি রাজনীতি হয়, তাহলে সেটাকে রাজনৈতিক সভা হিসেবেই ট্রিট করতে হবে।
সেই রাজনৈতিক সভায় যে আলাপ হবে সেগুলোকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে। রফিকুল ইসলাম মাদানি যদি কোনো গোষ্ঠিকে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তার বিচার হওয়া উচিত সেই মোতাবেক। তার ফোনে বিদেশি পর্নো নাকি মানবিক পর্নো পাওয়া গেছে, নাকি টিকটকের ভিডিও পাওয়া গেছে, এসব হাবিজাবি আলাপ দিয়ে তার গুরুতর অপরাধকে আড়াল করার কিছু নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :