মোহাম্মাদ এ আরাফাত: বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ধর্মভীরু, কিন্তু সাম্প্রদায়িক নয়। উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দৃষ্টিতে একজন মানুষ ধর্মপ্রাণ হলেও যদি সে অসাম্প্রদায়িক হয় তাহলে সে ‘নাস্তিক’। আবার একজন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশের নাগরিক যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে তাহলে সে ‘ভারতের দালাল’। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্যতা পেতে হলে আপনাকে শুধু ধর্মপ্রাণ হলেই হবে না, আপনাকে উগ্র সাম্প্রদায়িক হতে হবে এবং পাকিস্তানপন্থী হতে হবে। আর না হলে আপনাকে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরা ভাষায় গালাগাল করবে। আপনার যেকোনো যৌক্তিক বক্তব্যের বিপক্ষেও তারা আপনার ‘ধিষষ’ এ এসে আপনাকেই গালাগাল করবে। দূষিত করে তুলবে আপনার ধিষষ. তারা ‘real world’ এবং ‘irtual world’ দুটোই দূষিত করে তুলছে।
সবচেয়ে দুঃখজনক হলো এই নোংরামিগুলো তারা করছে ‘পবিত্র ইসলাম’ এর নামে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষেও ইসলামকে ব্যবহার করেছিলো উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তথা রাজাকাররা। মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ভারতের দালাল’ বলে অভিহিত করতো। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ইসলামী লেবাসেই রাজাকার গং যতো অনৈসলামিক কাজ করেছিলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে। এদেশের মানুষ রাজাকারদের বর্জন করেছে, ইসলামকে নয়। এদেশের মানুষ উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকেও বর্জন করবে। ‘ইসলাম ধর্ম’ এদেশে ছিলো, আছে এবং থাকবে। থাকবে না শুধু পবিত্র ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতির নামে ধান্দাবাজি করা রাজাকার এবং এর শাবকরা। লেখক : চেয়ারম্যান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
আপনার মতামত লিখুন :