শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৭ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৪১ দুপুর
আপডেট : ০৭ এপ্রিল, ২০২১, ০১:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘লক ডাউন মানলে ভাত খামু ক্যামনে’

জাহিদুল হক চন্দন: ‘ঘরে বউ আছে, বাপ মা আছে, রিকশা চালাইয়া সংসার চালান লাগে। লক ডাউনের আগে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাতশো টাকা আয় করতাম। প্রতিদিন যা আয় রোজগার অয়তো তা সংসারে বাজার সদাই করতেই চইলা যাইতো। লকডাউনে তো এহনো কোনদিন একশো টাকাও আয় করতে পারি নাই। ঘরে বইসা থাকলে তো আয় রোজগার অইবো না। তাই রিকশা নিয়া বাইর হয়ছি। লকডাউন মানলে ভাত খামু ক্যামনে’।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার উকিয়ারা গ্রামের রিকশা চালক মো.পান্নু মিয়া এ প্রতিবেদককে এবাবেই কথাগুলো বলছিলেন।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সাত দিনের লক ডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। মানিকগঞ্জে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন পালন হলেও এর প্রভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমেছে।

বেউথা এলাকার অটো চালক মো. ফরিদুল হক সরদার বলেন, লকডাউনে অটো চালানো নিষেধ আছে জানি কিন্তু অটো না চালালে সংসার চলবো ক্যামনে। প্রতি সপ্তাহে আটশো বিশ ও মাসে ৩ হাজার দুইশো টাকা কিস্তি দিতে হয়। তাছাড়া তো সংসারের খরচও আছে।

ভাটবাউর এলাকার ডাব বিক্রেতা মো. সোলায়মান বলেন, লক ডাউন না থাকলে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ টি ডাব বিক্রি হতো। এর বেশি ডাব আনলেও বিক্রি হতো। লকডাউনে পেটের দায়ে ডাব বিক্রি তরতে বের হয়ছি। তবে এখন ২০টি ডাবও বিক্রি হয় না। যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকম খেয়ে দেয়ে বেঁচে আছি।

চর হিজুলী এলাকার রিকশা চালক মো. আরিফ বলেন, ইঞ্জিনের রিকশা কেনার সময় এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা লোন নিছি। প্রতি সপ্তাহে এক হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। লকডাউনের আগে আয় রোজগার ভালই ছিলো। তবে লক ডাউনের পর থেকে আয় রোজগার একেবারেই নেই। সকাল থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়ছি। এখনো তেমন কোনো ট্রিপ দিতে পারি নাই।

জেলা প্রশাসক এস.এম.ফেরদৌস বলেন, লকডাউন থাকায় প্রায় সব শ্রেণির মানুষের আয় রোজগার কমে গেছে। তবে যারা একেবারেই অস্বচ্ছল বা যাদের খাওয়া দাওয়ার সমস্যা হচ্ছে তারা আমাদের কাছে আসলে তাদের সহযোগিতা করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়