শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ০৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:০৩ সকাল
আপডেট : ০৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার দুই ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে খুবই মন খারাপ হচ্ছে

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: নারায়ণগঞ্জের রিসোর্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু ফোন কল রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা আমি কখনো সমর্থন করি না সেটা যার বিরুদ্ধেই হোক। এইটা এক কেন্দ্রিক। সরকারের ক্ষমতা আছে বলে সরকারি মেশিনারি ব্যবহার করে এই কাজটি করা হয়। সরকারও অনেক কাজ করে যার ফোন কল রেকর্ড করে ছাড়া হলে দেশেতো বিপ্লব ঘটে যাবে। যাহোক রিসোর্ট কেন্দ্রিক ফোন কল যেহেতু ফাঁস হয়েই গেছে তা শোনার সুযোগও হয়েছে। এর ফাঁস হওয়া রেকর্ডগুলোর একটি হলো মা এবং ছেলের মধ্যে। খুবই হৃদয়বিদারক সেই মা এবং ছেলের মধ্যে কথোপোকথন। ছেলে টিভি খুললে, পত্রিকা খুললে, মোবাইল খুললে, ঘর থেকে বের হলে কেবল তার মাকে নিয়েই কথা শুনে। একবার তাহলে ভাবুন ছেলের অবস্থাটা। আবার তার মাও বিপর্যস্ত। যদিও হক সাহেব আলেম, সেলিব্রিটি এবং মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে ঘটে যাওয়া তাণ্ডবের কারণে সমস্ত ফোকাস গিয়ে ঠেকেছে হক সাহেবের ওপরে। তা না হলে, এই নারী বা এই মাই হতেন সমস্ত ফোকাসের কেন্দ্রবিন্দু। তার চরিত্র নিয়ে তোলপাড় হতো। তার বিচারে মানুষ সোচ্চার হতো। তাকে সমাজচ্যুত করা, দোররা মারার দাবি উঠতো। তথাপি সে এখন নানা কারণে বিপর্যস্ত।

এইরকম একটা সময়ে মা-ছেলের কথোপকথনটা শুনে আমার মনে হয়েছে এই নারী খুবই বুদ্ধিমতী। সে অত্যন্ত ঠান্ডা মেজাজে তার ছেলেকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করেছে। এইটা সম্ভব হয়েছে কারণ সে একজন কর্মজীবী নারী। জীবনে অনেক অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। দুই ছেলেকে নিয়ে জীবন ধারণ করতে অনেক সংগ্রাম করেছেন। এসবই তাকে শিক্ষিত করেছে। কেবল ঘরে বসে থাকলে আজকে এরকম সময়টা এমনভাবে ছেলেকে হ্যান্ডেল করতে পারতেন না।

আমার আশ্চর্য লাগে এই ফোনালাপটা শোনার পরও বাংলাদেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী ছেলেটির প্রতি বা তার ভাইয়ের প্রতি কোনোরকম সহানুভূতি দেখায়নি। কেমনে পারে? মানুষ কীভাবে এতো অন্ধ হয়? এই ছেলেটার কথাবার্তার মধ্যেও বেশ ম্যাচিউরিটি লক্ষ্য করার মতো যদিও কখনো কখনো সে তার মেজাজ ঠিক রাখতে পারেনি এবং তা পারা যেকোনো মানুষের জন্যই কঠিন। মায়ের সাথে এই ছেলেটি কথোপকথন ছাড়াও আরেকটি ভিডিও বার্তা সে নিজে লাইভে এসে দিয়েছে। সেখানে তার পারিবারিক অনেক কিছুই খোলাসা করেছে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে এই ছেলে দুটো কেবল এখন না অনেকদিন যাবৎই অশান্তির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। আমি ছোট এই দুই ছেলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে খুবই মন খারাপ হচ্ছে। তারা যেসব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা এই বয়সের যেকোনো বাচ্চার জন্য কঠিন। এর একটা ইমপ্যাক্ট তাদের বেড়ে উঠার মধ্যে নিশ্চই পরবে। এই মুহূর্তে তাদের psychiatrist এর পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করি। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়