লিহান লিমা: [২] গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৫৭০জনের প্রাণহানি সত্ত্বেও গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন মিয়ানমারের নাগরিকরা। মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনের রাস্তা দেশটির নাগরিকরা নিহতদের স্মরণে লাল রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দেন। রক্তবর্ণে লিখে দেন ‘এই রক্ত কখনোই শুকাবে না’, ‘সামান্য বেতনের জন্য মানুষ হত্যা করো না’। রয়টার্স
[৩] মিয়ানারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী শান আর্মির প্রধান জেনারেল ইয়ার্ড শের্ক বলেন, ‘সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। সাধারণ নাগরিকরা কোনো ভাবেই হাল ছাড়বেন না। অন্য দিকে অভ্যুত্থানের নেতা মিন অং হ্লিয়াংও হাল ছাড়তে রাজি নন। এ অবস্থায় গৃহযুদ্ধই অবশ্যম্ভাবী।’ সিএনএন
[৪] মিয়ানমারের বে-সামরিক ছায়া সরকার হিসেবে ঘোষণা দেয়া ‘কমিটি রিপ্রেজেন্টিং পিদাংসু হ্লুত্তাও (সিআরপিএইচ) এর সাংগঠিনিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রমের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে দেশটির সাধারণ নাগরিকরা উঠে-পড়ে লেগেছেন। দেশটির সাবেক বেসামরিক সরকারের আইনপ্রণেতাদের দ্বারা গঠিত সিআরপিএইচ নিজেদের মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে জান্তা সরকারের শাসন প্রত্যাখ্যান করেছে ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। জান্তা সরকার দলটির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ এনে এর সদস্য ও সমর্থকদের গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সিএনএ
[৫] মিয়ানমারের ফেসবুক ব্যবহাকারীরা দলটির সমর্থনে নিজেদের কাছে থাকা আসবাব থেকে শুরু করে পুতুল, সিডি, বইপত্র, খেলাধূলোর সামগ্রী বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। তারা বিদেশীদেরও দলটিকে তহবিল দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা শক্তিশালী আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ না নেয়ার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের প্রতিক সম্বলিত মুখোশ পরেও প্রতিবাদ জানান।
[৬] যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইইউসহ বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে। তবে চীন ও রাশিয়ার ভেটোর মুখে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রাশিয়া বলেছে, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :