ইসমাঈল ইমু: [২] সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। এরই ধারায় ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষা তথা জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। মঙ্গলবার সকালে যশোর সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর চারটি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
[৩] রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্ত ইউনিটসমূহকে অভিনন্দন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্তি যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে এই বিরল প্রাপ্তি নি:সন্দেহে আরও অধিক গৌরবের ও আনন্দময়। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশমাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেন।
[৫] অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ১৬ ও ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং ১০ ও ১১ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এই কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে। তারা প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।
[৬] এর আগে যশোর সেনানিবাসের এসটিসিঅ্যান্ডএস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাপ্রধান উপস্থিত হলে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার তাকে অভ্যর্থনা জানান। প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল মো. শাহাবউদ্দিনের নেতৃত্বে কালার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী ব্যাটালিয়নসমূহের সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাপ্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করে। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :