সুস্থির সরকার : [২] নেত্রকোণার হাওরের কৃষকরা যখন আগাম ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক সেই সময় শনিবার রাতে কয়েক মিনিটের গরম বাতাস নষ্ট করে দিলো দাড়িয়ে থাকা ধানের শীষ। কৃষকদের আহfজারীতে ভারী হয়ে উঠেছে হাওর পাড়।
[৩] শীষে ধান নেই, জমিতে শুধু ধান গাছ দাড়িয়ে রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে হাওরাঞ্চলে চলছে কৃষকদের বিলাপ করা কান্না।
[৪] নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে খালিয়াজুরী উপজেলায় ১৯ হাজার ৯ শত ৫০ হেক্টর, মদনে ১৭ হাজার ৩ শত ৪০ হেক্টর ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় ১৭ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।
[৫] এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা ছিলো কৃষকদের। বেশির ভাগ জমির ধানই পাকতে শুরু করেছে। আর কয়েক দিনের মধ্যে ব্রিআর-২৮ জাতের ধানের পাশাপাশি হাইব্রিড জাতের ধান কাটা শুরু হতে যাচ্ছে।
[৬] এরই মধ্যে আগে লাগানো কিছু কিছু জমিতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সারা বছরের একমাত্র হাড় ভাঙ্গা কষ্টে ফলানো সোনার ফসল ঘরে তুলতে অনেকেই বিভোর সময় পার করছে। জমিতে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে।
[৭] কিন্তু গত রবিবার সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে মাত্র কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের গরম বাতাস যেন কৃষকদের স্বপ্ন বিলীন করে দিয়েছে। ধার-দেনা করে এক ফসলী জমির ফসল হারিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই কৃষকের।
[৮] খালিয়াজুরী উপজেলার ইছাপুর গ্রামের নিরঞ্জন সরকার জানান গরম বাতাসে ধানের বিআর ২৯ ধান বাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে সেগুলো কাটা যাবেনা বলে জানিয়েছেন তিনি। ধানের শীষগুলো পুরে গেছে মনে হয়, আগুন ধরানো যাবে এমন অবস্থায় দায়িয়ে আছে। তারা এখন নিরূপায় কি করবে ভেবে পাচ্ছেন না । তিনি আরও জানান, ঋণ করে জমিতে ফসল উৎপাদন করেছেন। এখন সারা বছর খাবেন কি? আর কি দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন? সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি।
[৯] নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপÍরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে স্থানীয় কৃষি অফিসারদের নিয়ে মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলার বিভিন্ন হাওরাঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। হাওরের যে সমস্ত জমিতে এখনও ধান পাকে নাই সেসব জমির ধান গরম বাতাসের কারণে চিটা হয়ে যবে। আমাদের লোকজন মাঠে আছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমান নিরূপনের জন্য কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :