মমতাজুর রহমান: [২] বগুড়ার আদমদীঘিতে করোনার প্রভাবে ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছে কুমার পাড়া। পাইকারী ক্রেতা না থাকায় বাড়ি হতে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে তৈরি জিনিষ পত্র। এতে খরচের টাকা তুলতে হিমসিম খাচ্ছে তারা। তারা বলেন দ্রুত করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে ।
[৩] জানা গেছে, আদমদীঘি ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে প্রায় ৮০-৯০টি পরিবারের জীবন ধারণের এক মাত্র উপায় মৃৎশিল্প। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে এখন গ্রামে নেই কোনো পাইকারী ক্রেতা এতে তৈরি শিল্প নিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা । জীবন ধারনের একমাত্র উপায় বন্ধ হয়ে যাওযায় মানবেতর জীবিন যাপন করতে হচ্ছে তাদের। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি সপ্তাহে পাইকারী ব্যবসায়ি এসে সরাসরি কুমাড়দের কাছ থেকে মাল ক্রয় করে ট্রাকযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতো।
[৪] করোনা ভাইরাস এর ফলে সারাদেশে লোকডাউন ঘোষনা হবার পর হতে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হওযায় পাইকারী ক্রেতারা আসছেনা মাল কিনতে। নিজেরাও কোনো গ্রামে নিয়ে যাইতে পারছে না । এতে করে তৈরি মাল বাড়ি হতে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রয় করতে হচ্ছে তাদের। যে পাতিল বিক্রয় হতো ২০-৩০টাকায় তা এখন বিক্রয় করতে হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। বিক্রয় না হওয়ায় চুলাতেই রয়ে গেছে তৈরি মাল।
[৫] এ ব্যাপারে উপজেলার রামপুরা গ্রামের মৃৎশিল্পি শ্রী মিলন চন্দ্র পাল বলেন বংশগত ভাবেই আমরা এই কাজ করে আসছি। আমাদের জীবন চলার একমাত্র উপায় এটি। বর্তমান করোনা ভাইরাস এর কারনে ক্রেতা না থাকায় তৈরি মাল বিক্রয় করতে পারছিনা আমরা। ফলে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। দ্রুত করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে আমাদের। সম্পাদনা: সাদেক আলী