ইমরুল শাহেদ: পরিচালক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবার অলক্ষ্যে চলচ্চিত্রশিল্পে যে মেরুকরণ শুরু হয়েছিল, তা এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। আগে চলচ্চিত্র নেতৃত্ব যেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল, এখন সেখান থেকে সরতে শুরু করেছে।
চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন শিল্পটির চলমান নিয়ম-নীতি লংঘনের অভিযোগে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে বয়কট করে। তবে বয়কট শব্দটি ব্যবহার না করে বলা হয়েছে, চিত্রকর্মীরা এ দু’জনের সঙ্গে কাজ করবেন না।
প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা হওয়ার পর গোটাচিত্র বদলাতে শুরু করে। পরিচালক সমিতির নির্বাচনের কয়েকদিন আগে প্রযোজক পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল রিভেঞ্জ নামের একটি ছবিতে মিশা সওদাগরকে চুক্তিবদ্ধ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নেতৃত্ব নেই। চলচ্চিত্র পরিবারও নেই।’ পরিচালক সমিতির নির্বাচনে একটি প্যানেল জায়েদ খানকে সঙ্গে নিয়েছে। এভাবে জায়েদ খানের থমকে যাওয়া ক্যারিয়ার এবার সচল হতে পারে।
শিল্পী সমিতির নির্বাচন সামনে। তখন তিনি হয়তো পরিচালক সমিতি থেকে উপকৃত হতে পারেন। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন কবে হবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। কথা ছিল প্রশাসক নিয়োজিত হওয়ার তিন মাস বা ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিবেন। কিন্তু প্রশাসক নিয়োগ হওয়ার দেড় দুই মাস পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত শোনা যাচ্ছে না। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রশাসক কিছুদিন আগে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নেতৃস্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
কিন্তু চলচ্চিত্রশিল্পের প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা সফল হয়নি। অর্থাৎ তারাই নাকি এই মুহূর্তে নির্বাচন চাইছেন না। তারা নির্বাচন না চাইলে প্রশাসক কি করতে পারেন। তিনি যা করতে পারেন সেটা হলো, তার নিয়মেই তিনি নির্বাচন ঘোষণা করে দিতে পারেন। যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদেরকে নিয়েই নির্বাচন হয়ে যাবে। প্রশাসক কেন অন্যের কথার ওপর সিদ্ধান্ত নেবেন?