শরিফুল হাসান : এই লকডাউনে যাদের খাবার কিনে খাওয়ার সামর্থ্য থাকবে না তাদের পাশে থাকতে চাই। কারণ একেকটা লকডাউন মানেই শ্রমজীবী মানুষের ভয়াবহ কষ্ট। সোমবার থেকে আরেকটা লকডাউন আসতেছে। কথাটা শুনে প্রথমে আমার মাথায় আসছে শ্রমজীবী মানুষের কি হবে?এই লকডাউনও নিশ্চয়ই ভয়াবহ দুর্ভোগ নিয়ে আসবে তাদের।
লকডাউন চলাকালে আপনার আশেপাশে ছাত্র থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা বা যেকোনো শ্রমজীবী মানুষ যদি দেখেন দয়া করে তাকে যদি কোন হোটেলে নিয়ে ডাল ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন আমি সেই টাকাটা দিয়ে দেবো। একজন মানুষকে ৫০-১০০ টাকাতে পেটভরে ভাত খাওয়ানো যায়।
রিজিকের মালিক ওপরওয়ালা! আমি-আপনি কেউ নই। কিন্তু মানুষজন খাবার কষ্টে আছে দেখলে আমার ভীষণ যন্ত্রণা লাগে। শুধু এই লকডাউন নয় যেকোনো সময় যদি বাংলাদেশের কোনো কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থীর খাবার কষ্ট থাকে আমাকে জানাবেন। আমি আমি চেষ্টা করবো আপনার খাবার টাকাটা দিয়ে দিতে। এই জীবনে কারও বিপদ বা সংকটের কথা শুনেছি কিন্তু পাশে দাঁড়াইনি এমনটা হয়নি।
আমার সামর্থ্য থাকলে আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেকগুলো হোটেল বা স্থান বানাতাম যেখানে যে কেউ বিনে পয়সায় এসে খেয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের যার যেটুকু আছে সেটুকু নিয়ে যদি আমরা পরস্পরের পাশে দাঁড়াই তাহলে সংকটটা মোকাবেলা করা যাবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালো রাখুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :