মাসুদা ইয়াসমিন : [২] আশুলিয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর সাহিদা আক্তার হ্যাপি (৩১) নামে এক নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে আশুলিয়া নয়ারহাট এলাকার বংশী নদী থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাবু আকন্দ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
[৩] নিহত সাহিদা আক্তার হ্যাপি বরিশাল জেলার হিজলা থানার কোলচড় এলাকার কুদ্দুস ব্যাপারীর মেয়ে। তিনি আশুলিয়ার কুঁরগাও এলাকায় ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গ্রেফতার বাবু আকন্দ (২৮) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার কুমিরমারা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
[৪] থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন নিহত হ্যাপির সঙ্গে বাবু আকন্দের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে হ্যাপি মাঝে মধ্যেই বাবুকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন। এতে বাবু কালক্ষেপন শুরু করে। এ ঘটনায় তাদের মধ্যে প্রায়প্রায়ই বাকবিতন্ডা হতো। গত বুধবার রাতে হ্যাপিকে কৌশলে বাবুর বাসায় নিয়ে গলায় ওড়না প্যাচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
[৫] আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বলেন, ওই নারীকে শ^াসরোধে হত্যা করে মরদেহটি বস্তাবন্দি করে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক সিএনজি চালকের সহায়তা চায় বাবু। সিএনজি চালক বিষয়টি টের পেয়ে কৌশলে র্যাবকে অবগত করেন। এ ঘটনার এক দিন পর র্যাব অভিযুক্ত বাবুকে গত শুক্রবার রাতে আটক করে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে। বাবুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নয়ারহাট এলাকার তুরাগ নদী থেকে হ্যাপির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :