শরীফ শাওন: [২] করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে চলাচল সীমিত করে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে একুশে বইমেলার আয়েজক কমিটি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বই মেলা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
[৩] রোববার বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, কোন যুক্তিতে সময় নির্ধারণ করেছেন তার যৌক্তিকতা তারাই বলতে পারবেন। মেলার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোন আলোচনা করা হয়নি। বিভিন্ন জনের পরামর্শ থেকে হয়তো ভালো কোন সিদ্ধান্ত আসতে পারতো। এবারের মেলা ধারাবাহিকতা রক্ষার ছিলো, কোন উচ্চাকাঙ্খা ছিলো না।
[৪] সমিতির নির্বাহী পরিচালক ও প্রকাশক মনিরুল হক বলেন, মেলাটি বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হলে হয়তো আশপাশের লোকজন রিক্সা নিয়ে মেলায় আসতে পারতো। বিশেষ দিন ছাড়া দর্শনার্থীরা কখনোই দুপুরে মেলায় আসে না।
[৫] তিনি বলেন, মেলার সফলতা এমনিতেই জিরো এখন এটা ‘বিগ জিরো’তে পরিনত হয়েছে। যেখানে মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে সেখানে মেলা খোলা রাখার যৌক্তিকতা নেই। মেলা যতটুকু হয়েছিলো এতটুকু থাকলেই ভালো হতো। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করলে মেলা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতাম।
[৬] সময় নির্ধারণ নিয়ে আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি বলেন, কৌতুক করারও একটা সিমা থাকে। আমাদের ১০৯টি বই প্রকাশ পেয়েছে। অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়েছি, প্যাভিলিয়ন ভাড়া ও তৈরি করেছি। স্টল তৈরি করেছি। এসবে যে টাকা খরচ করেছি এ পর্যন্ত সেই টাকার বিক্রি হয়নি, বইয়ের টাকা তো দুরের বিষয়। আমাদের যদি এ অবস্থা হয় তবে ছোট প্রকাশকদের অবস্থা বুঝতে পারছেন। আমাদের গড়ে ১০ টাকাও ফেরত আসবে না।
আপনার মতামত লিখুন :