ফজলুল হক: [২] হেফাজতে ইসলামের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরণের নাশকতা ঠেকাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে সর্তক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পাশে রয়েছে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর
[৩] সারা দেশে কেন্দ্রীয় নির্দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
[৪] হেফাজতের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই উপজেলার মৌচাক মোড়, সফিপুর বাজার, পল্লীবিদুৎ স্টেশন, চন্দ্রা ত্রিমোড়, কালিয়াকৈর বাজারের আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ দেখা গেছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও পাশে দেখা গেছে।
[৫] প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে নেতাকর্মীদের পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যকার সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বায়তুল মোকাররম এলাকা মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় রণক্ষেত্র হয় বায়তুল মোকাররম এলাকা।
[৬] এ ঘটনার পর সংঘর্ষের রেশ ছড়িয়ে পড়ে হাটহাজারী, ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ-ভাঙচুর ও সহিংসতায় জড়ায় হেফাজতের নেতাকর্মী ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। টানা তিনদিনের সংঘাতে অনেকের প্রাণহানি হয়। অভিযোগ উঠে, হেফাজতের নেতাকর্মীরা এসব এলাকায় সরকারি বিভিন্ন অফিস ও স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। এরপর রোববার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে দোয়া ও বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়। ঘোষণায় জানানো হয়, সোমবার (২৯ মার্চ) দোয়া এবং শুক্রবার (২ এপ্রিল) দেশব্যাপী বিক্ষোভ করবে তারা।
[৭] কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল জানান, হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ঠেকাতে নয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে।
[৮] কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, হেফাজতের বিক্ষোভে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই পুলিশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :