মিনহাজুল আবেদীন: [২] বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলায় বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার ড. লেলিন চৌধুরী আরও বলেন, ঢাকার বাইরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা এবং আইসিইউ ব্যবস্থাপনা উন্নত না হওয়ায় অনেক কোভিড রোগী চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসছে। হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে।
[৩] তিনি বলেন, গত বছর করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কার পর চিকিৎসা ব্যবস্থায় অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সুবিধা কিছুটা বাড়ানো হয়েছিলো। কিন্তু এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
[৪] কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক নাদিরা হক বলেন, হঠাৎ করেই আমাদের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বর্তমানে কোনও বেড খালি নেই। কাজের অনেক চাপ। প্রচুর রোগী আসছে এবং অনেক রোগী বাইরে থেকে টেলিফোন করছে। আইসিইউ শয্যার জন্য।
[৫] নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবক জানায়, ঢাকায় একের পর এক সরকারি হাসপাতালে ঘুরে বাবাকে কোথাও ভর্তি করাতে পারিনি। প্রায় আট দশটা হাসপাতালকে নক করেছি। সবাই বলছে, সিট ফাঁকা নেই।
[৬] আর এক গৃহিনী জানায়, আমার স্বামী মুমুর্ষ অবস্থায় আইসিইউতে নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু হাসপাতালটিতে আইসিইউর ১৬টি শয্যাতেই রোগী থাকার কারণে তাদের অন্য কোনও হাসপাতালে রোগীকে নিতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা: রাশিদ