সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : [২] প্রতি বছরের মতো বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সাড়ে ৭’শ মৌয়াল বুড়িগোয়ালিনি ফরেস্ট ষ্টেশন থেকে পাস সংগ্রহ করে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন। প্রতি বছর এই দিনে বন বিভাগ ও বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনরে পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও এবার করোনা মহামারির কারণে তা হয়নি। মধু আহরণ চলবে আগামী জুন পর্যন্ত।
[৩] বন বিভাগ সূত্র জানায়, এ বছর ১ হাজার ৫০ কুইন্টাল মধু এবং ৪৫০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও গত বছর (২০২০ সালে ) সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫০ কুইন্টাল, পক্ষান্তরে মধু আহরন করা হয়েছিল দুই হাজার ৬ কুইন্টাল। অপরদিকে, গত বছর মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬৫ কুইন্টাল। মোম আহরন করা হয়েছিল ৬০২ কুইন্টাল। গত বছর রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১৫ লাখ চার হাজার ৮৭৫ টাকা।
[৪] সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেরঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এমএ হাসান জানান, এবার সুন্দরবনে মধু আহরণের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে মৌয়ালদের কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, সংরক্ষিত অভয়ারণ্য থেকে মধু আহরণ করা যাবে না এবং কোনো মৌয়াল নিষিদ্ধ বনাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবেননা। যদি প্রবেশ করে তাহলে তার পাস পারমিট বাতিল করা হবে।
[৫] এছাড়া মৌয়ালরা মৌমাছি তাড়াতে অগ্নিকুন্ড, মশাল বা অনুরূপ কোনো দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করতে পারবেন না।
[৬] তিনি আরও বলেন, আজ প্রথম দিনে সাড়ে ৭’ শ মৌয়াল পাস নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। এ খাত থেকে ইতিমধ্যে চার লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ পাস দেয়া হবে। তবে এবার বৃষ্টি না হওয়ার কারনে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :