নুর উদ্দিন : [২] গত কয়েক বছর কোম্পানীগঞ্জে স্বল্প আকারে তরমুজ চাষ হলেও এবার গত বছরের তুলনায় ১৬ গুন বেশি চাষ হয়েছে তরমুজ।
[৩] উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নে মাছুয়াধোনা এলাকার চাষি রহিম মিয়া জানান, গতবছর আমরা ২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করি, ফলন ভালো হয়েছে, লাভও ছিল। এবার ২২ হেক্টর পরিমাণ জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। গতবারের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে তাই কয়েকজন মিলে চাষ করেছি ।
[৪] মুছাপুর ইউনিয়নের আরেক তরমুজ চাষি সগীর আহমদ জানান,পার্টনার নিয়ে কয়েকজন জমি মালিক থেকে জমি লিজ নিয়ে ৩০ হেক্টর জমিতে এবার তরমুজ চাষ করেছি নদীর কূলবর্তী এলাকায়। ফলন ভালো হয়েছে। তবে যদি একটা বৃষ্টি হতো তাহলে পানির যোগান আরো পেতাম।তাতে ফলন আরো ভালো হতো।
[৫] উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের সবুজ আলম জানান, চার একর জমিতে এবার তরমুজ চাষে তার খরচ করতে হয়েছে দেড় লাখ টাকা।পানির সংকটে ফলনে প্রভাব পড়েছে।
[৬] উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, গত বছর উপজেলায় তরমুজ চাষ হয়েছে ৪০ হেক্টর জমিতে এবার তা বেড়ে ৬৫২ হেক্টর জমিতে হয়। মুলত লাভ জনক হওয়ায় তরমুজ চাষে ঝুঁকেছে চাষিরা।
[৭] কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.বেলাল হোসেন জানান,গত বছর বেশ কিছু ক্যাম্পেইন করেছি কৃষকদের নিয়ে।সেখানে চাষের বিষয়ে ট্রেনিং করানো হয়েছে। সেসব থেকে উৎসাহ পেয়ে কৃষকরা এবার তরমুজ চাষ করেছে।তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে তরমুজ বিক্রিতে তেমন প্রভাব পড়বে বলে মনে হয়না।
[৮] কারণ,ইতিপূর্বে চাষিরা চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের কাছে কয়েক ধাপে তরমুজ বিক্রি করেছে।এছাড়াও সরকার কাঁচামালের গাড়ী এবং কাঁচা বাজার লকডাউনের আওতাধীন রেখেছে। আশা করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি তরমুজে তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :