সোহাগ হাসান:[২] দেশব্যাপী হেফাজতের নৈরাজ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাবে অগ্নিসংযোগ, নোয়াখালী ও নারায়নগঞ্জে গণমাধ্যমের গাড়ী ভাংচুর, ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে সিরাজগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
[৩] বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে শহরের শহীদ নাজমুল চত্বরে আয়োজিত এই কর্মসুচীতে শতশত গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ গ্রহন করেন।
[৪] সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, কর্মকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদ উদ্দিন পবলু, সিরাজগঞ্জ নাট্য ফেডারেশনের সহ সভাপতি রফি খন্দকার, কবি গৌতম সাহা, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানুসহ গণমাধ্যমকমীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংহতী প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
[৫] এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে তখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশজুড়ে তান্ডব চালিয়েছে। প্রেসক্লাবে হামলা পরিকল্পিত।
[৬] সাংবাদিক সমাজকে স্তব্ধ করে দিতেই হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জে প্রেস ক্লাবে হামলা চালিয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে হেফাজতকর্মীরা।
[৭] তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এ সময় দেশে মৌলবাদী শক্তি যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
[৮] মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন