ডেস্ক নিউজ: বুধবার রাত ৩টার দিকে শহরের কথিত এক কবিরাজের বাড়ি থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার বিকাল ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের কলেজপাড়া থেকে ওই শিশুকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
অপহৃত ওই শিশুর নামে কাজী আবদুল আজিজ ফারহান (৪)। সে আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার দন্ত চিকিৎসক কাজী সজীবের একমাত্র ছেলে।
জানা যায়, ফারহানকে অপহরণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে রাত ৩টার দিকে শহরের কথিত এক কবিরাজের বাড়ি থেকে শিশু কাজী ফারহানকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর এক চাচাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ৫টার দিকে বাড়ির গেটে খেলছিল শিশু কাজী ফারহান। এ সময় অজ্ঞাত দুজন জুসের প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অপহৃত শিশু কাজী ফারহানের বাবা দন্ত চিকিৎসক কাজী সজীবের মোবাইল ফোনে কল দেয় অজ্ঞাত ব্যক্তি।
এ সময় ফারহানের মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে ফারহানকে হত্যা করা হবে বলেও সতর্ক করে অপহরণকারীরা।
শিশু ফারহানের পেটে কয়েকটি ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল বলে তার পরিবারের দাবি।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, কোনো মুক্তিপণ ছাড়াই ফারহানকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার চাচা কাজী সুমনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানায় নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সূত্র: যুগান্তর অনলাইন, ডিবিসি টিভি
আপনার মতামত লিখুন :