মিনহাজুল আবেদীন: [২] বুধবার বিবিসি বাংলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নতুন কিছু উদ্যোক্তা আছে, যাদের মেধা আছে, কিন্তু অর্থ নেই। তারা ইনোভেটিভ কিছু করছে, যা দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু আনছে। কিন্তু অর্থের অভাবে তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছে না। তাদের জন্যই স্টার্ট-আপ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[৩] তিনি বলেন, তাদের সার্টিফিকেট জমা রেখে স্টার্ট-আপ লোন দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। তবে ঋণের আকার প্রজেক্টের মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করবে।
[৪] তিনি আরও বলেন, দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক তহবিল হতে এই ঋণ নিতে পারবেন। এই ঋণ পেতে হলে একজন উদ্যোক্তাকে তার প্রকল্পের যাবতীয় বিবরণী, পরিকল্পনা, নিজস্ব বিনিয়োগের ধরনসহ বিস্তারিত তুলে ধরে ফর্ম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। ব্যাংক তার আবেদনে সন্তুষ্ট হলে প্রকল্প মূল্যায়ন করে তার ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করবে।
[৫] বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে সরকারি অথবা বেসরকারি উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ব্যবসা পরিচালনা, বাজারজাতকরণ বা কারিগরি বিষয় সনদ সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
[৬] উদ্যোগের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। তবে ঋণখেলাপি কোনও ব্যক্তি এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের বিবেচনায় রাখা হবে। কোনও উদ্যোক্তা যেকোনো একটি উদ্যোগে একবারের বেশি ঋণ নিতে পারবেন না।
[৭] এই ঋণের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর, প্রয়োজনে তা আরও বৃদ্ধি করা হবে। এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ চার শতাংশ সুদে তিন ও ছয়মাস মেয়াদী কিস্তিতে পাঁচ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। সম্পাদনা: রাশিদ