মাসুদ কামাল: কোভিড-১৯ এর কারণে গণপরিবহণে ৫০ শতাংশ আসন খালি রাখতে বলা হয়েছে। এতে পরিবহণ মালিকদের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে ৬০ শতাংশ। আসন যদি ৫০ কমে, ভাড়া কেন ৬০ বাড়বে? তারও চেয়ে বড় কথা, প্রতিটি পরিবহনে আসন যে অর্ধেক কমিয়ে দেওয়া হলো, এখন বাকি অর্ধেক মানুষের যাতায়াত কীভাবে হবে? যানবাহনের সংখ্যা কি বাড়ান হয়েছে? না, সেটা হয়নি।
গতবছর যখন এরকম নিয়ম করা হয়, তখন কিন্তু অনেক অফিস আদালত বন্ধ ছিল। এবার তো কোনো বন্ধ নেই। অফিস, আদালত, বাজার, শপিং মল, মেলা, উৎসব- সব খোলা। তাহলে? মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে বলবেন, কিন্তু গণপরিবহণে যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখবেন না- এটা কেমন কথা!
৩১ মার্চের নগরীর বাস-স্টপেজগুলো দেখেছেন? হাজার হাজার মানুষ সকাল থেকে ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলো, বাসে উঠতে পারছিলো না। ভিড়ের মধ্যে যে ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিলো, তাতে কি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছিলো? আমি বুঝি না, এমন এমন উদ্ভট সব সিদ্ধান্ত কি ধরনের ঊর্বর মস্তিষ্ক থেকে বের হয়। যে মন্ত্রী, আমলা, কর্তাব্যক্তিরা এমন সিদ্ধান্ত দেন, তাদের প্রতি অনুরোধ- একবার গিয়ে ওই মানুষের লাইনে দাঁড়ান। দেখেন, কেমন লাগে। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক