স্পোর্টস ডেস্ক: ইনজুরির কারণে অকল্যান্ডের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলা নিয়ে শঙ্কায় বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালীন বাঁ উরু'র পেশিতে টান খেয়েছিলেন রিয়াদ। সেই ইনজুরিটাই এখন ভোগাচ্ছে তাকে।
শেষ ম্যাচের জন্য অনুশীলনও করতে পারেননি তিনি। একারণে ম্যাচে তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়েছেন দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস।
নিউজিল্যান্ড সফরটা একবারেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স করছেন ক্রিকেটাররা। মাঝে মাঝে কেউ এককভাবে জ্বলে উঠলেও, টিম বাংলাদেশের ঝলক এখনো দেখা যায়নি ওশেনিয়াতে।
পারফরম্যান্সের এই উঠানামার মধ্যেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওয়ানডে শেষে দেশে ফিরে এসেছেন তামিম ইকবাল। আর সিরিজের আগে থেকেই ছুটি নিয়ে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। পুরানো কাঁধের ইনজুরি মাথা চাড়া দিয়ে উঠায় সংক্ষিপ্ত সংস্করণে মাঠে নামা হয়নি মুশফিকেরও। এখন যদি, রিয়াদও ফিট না হন সেক্ষেত্রে বহু বছর পর এই চারজনকে ছাড়া মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশ দলকে। জয়শুন্য সিরিজ থেকে একটা ভালো কিছু আনতে এখন জুনিয়রদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
মুশফিকের ইনজুরি নিয়ে এখনো কোন মন্তব্য করতে পারছেন না দলের চিকিৎসকরা। তার পুরানো কাঁধের ইনজুরিটা হঠাৎ করেই ফিরে আসায় কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন তারা। সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আঙুলের ইনজুরি। সব মিলিয়ে মুশফিককে নিয়েও বেশ ঝামেলায় আছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে ফিটনেস টেস্ট উৎরে গেলে ম্যাচে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে মুশফিককে।
রিয়াদ মাঠে নামতে না পারলে অধিনায়কত্বের আর্ম ব্যান্ডটাও পড়তে হবে নতুন কাউকে। সেক্ষেত্রে, মুশি খেললে তার সম্ভাবনাই বেশি টস করতে নামার। তবে, দুজনের কেউ না থাকলে ভাবনা বাড়বে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। এ মুহূর্তে দলের সঙ্গে থাকা সদস্যদের মধ্যে যাকে দিয়ে ক্যাপ্টেন্সি করানো যেতে পারে, কথা বলছেনা সেই মিঠুনের ব্যাটটা। তাই দলে জায়গা নিয়েই যার শঙ্কা আছে, তাকে নেতৃত্ব দেয়াটা বেশ বিব্রতকর ম্যানেজমেন্টের জন্য। সেক্ষেত্রে আনকোড়া কারো হাতেই উঠতে পারে অধিনায়কত্বের গুরুভার।
আপনার মতামত লিখুন :