রিয়াজুর রহমান : [২] বুধবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মহিউদ্দীন মুরাদের আদালত এ আদেশ দেন।
[৩] এর আগে বিএনপি নেত্রীর চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসনকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিল পুলিশ। তবে আদালত সেই আবেদন নাকচ করে উল্টো তাকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
[৪] একই আদালতে কোতোয়ালী থানার নাশকতার মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিএনপির কারাবন্দী ১১ নেতাকর্মীকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পায় পুলিশ। তবে একই মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ নেত্রীর রিমান্ড মঞ্জুর করেননি আদালত।
[৫] আসামিদের আইনজীবী বদরুল আনোয়ার বলেন, আদালত ডা. শাহাদাতের রিমান্ড না মঞ্জুর করেছেন। একই সঙ্গে আমাদের করা আবেদনে তাকে কারাগারে ডিভিশন বন্দীর সুযোগ-সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
[৬] উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ডা. শাহাদাতসহ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ। আদালত আজকে সে বিষয়ে শুনানির সময় দিয়ে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।
[৭] গত সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুর ৩টা থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে তা পালন করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিএনপি। এ সময় ককটেলবাজি, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পুলিশের ওপরও হামলার অভিযোগ রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
[৮] ওই হামলার পর নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দু'টি মামলা দায়ের করা হয়। একটি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অন্যটি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে।
[৯] প্রত্যেক মামলাতেই নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সেক্রেটারি, ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ নগর বিএনপির শীর্ষ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :