জাহিদুল কবির: যশোরে সরকারি কর্তব্য কাজে বাধাদান ও সরকারি কর্মচারিকে মারপিটের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এ সময় শেখ হাসান ইমাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তুষার কুমার মন্ডল ২৮ মার্চ রোববার বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হচ্ছে শহরের নীলগঞ্জ সুপারি বাগানের আবু সাইদ শেখের ছেলে শেখ হাসান ইমাম (৩০), পূর্ব বারান্দি মোল্লাপাড়ার পিতা অজ্ঞাত মাসুদ কায়সার ওরফে ইস্তি (৩০) রেলগেট রায়পাড়ার পিতা অজ্ঞাত রাজন ওরফে রাজু (৩২) চাঁচড়া ডাল মিলের পিতা অজ্ঞাত সুমন চৌধুরি (৪২) চাঁচড়া রায়পাড়ার পিতা অজ্ঞাত খোরশেদ (৪৫) শহরের ঘোপের পিতা অজ্ঞাত বুলবুলসহ (৩৮) অজ্ঞাত ৪০/৫০ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ মার্চ রোববার বিকেলে বিশেষ নিরাপত্তা ডিউটি করা কালে তিনি লাল দিঘীপাড়ে অবস্থান করেন। ওই সময় বিএনপি অফিসে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ শেষে লাল সাদা রঙের প্যাকেট নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা দল বেধে মাইকপট্টির দিকে যায়। ইন্সপেক্টর তুষার কুমার মন্ডল তাদের অনুসরণ করেন। নেতাকর্মীরা এম এম আলী রোডস্থ মাইক পট্টির উত্তর দিকে জামান ফার্মেসির সামনে রাস্তার উপর বিকাল সাড়ে ৫ টায় পৌছে হঠাৎ করে সরকার বিরোধী স্লোগান শুরু করে।
আসামিরা মারমুখি হয়ে তাদের হাতে থাকা প্যাকেট থেকে ইটের টুকরা ও কালো রঙের পাথর বের করে পুলিশকে লক্ষ করে ছুড়তে থাকে। ইন্সপেক্টর তুষার কুমার আসামিদের ওই ধরণের কর্মকান্ড থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে তারা আরো উত্তেজিত হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। আসামি মাসুদ কায়সার ইন্সপেক্টর তুষার কুমার মন্ডলের মাথায় ঘুষি মারে। মিছিলে অংশ গ্রহনকারি অন্যান্য আসামিদের ছোড়া ইটের টুকরা ও পাথরের আঘাতে পুলিশ কনসটেবল হুমায়ন কবীর ও শামীম আল মামুন আহত হয়। আসামিরা দল বেধে পুলিশের উপর হামলা করে। ইন্সপেক্টর বেতার মারফত অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করলে চারিদিক দিয়ে পুলিশের টহল গাড়ি হাজির হয়।
পুলিশের টহল গাড়ি দেখে আসামিরা মাইকপট্টি দিয়ে আদ-দ্বীনের গলি দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আসামি শেখ হাসান ইমামকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।