আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]মুক্ত অর্থনীতি, অসাধারণ জণনীতি এবং নিরবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র কাজ করেছে প্রধান নিয়ামক হিসেবে।
[৩] গত ২০ বছরে বাংলাদেশ নিয়মিতই ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে প্রতিবছরই। ফলে রকেট গতিতে বেড়েছে মাথাপিছু আয়, পাকিস্তানকে অতিক্রম করে এখন ভারতের গায়ে শ্বাস ফেলছে। সামাজিক সূচকে অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাক্ষরতা বাড়ানো, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষনীয়। সাউথ এশিয়া ডট কম
[৪] ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় ৪ বছর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সময় তার প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিলো বিপুল জনসংখ্যাকে খাবার যোগানো। আরেকটি বড় সমস্যা ছিলো প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামো। সব মিলিয়ে ১০৭৩ সালে জিনিসপত্রের দাম এতোটাই বেড়ে যায়, বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হয় প্রাণ সংহারি দূর্ভিক্ষ।
[৫] ১৯৭৩ সালেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিলো ৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক বলচে সদ জন্মানো একটি দেশের ক্ষেত্রে উচ্চ প্রবৃদ্ধি মোটামুটি স্বাভাবিক। ১৯৮০’র দশকে তা কমে দাঁড়ায় ৩ শতাংশ। ১৯৯০ এর দশকে অর্থনীতিকে মুক্ত করে দেওয়ার পরেই প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে চলে আলে। আর ২০০০ সালের পর তা দাঁড়ায় ৬ শাংশ। আর ১০ এর দশকে তা ৭ শতাংশ অতিক্রম করে।
[৬] বাংলাদেশে শহরাঞ্চলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রামীন এলাকার উন্নতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে নারীর। সরকারের জননীতি সবসময়েই নারীর উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সবচেয়ে বেশি সফলতা এসেছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে। ১৯৭০ এর দশকে যা ছিলো ৩ শতাংশের উপরে, তা এখন ২ শতাংশের নিচে।
[৭] শূণ্য এর দশকে আওয়ামীলীগ মোট ৪টি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়। কৃষিখাত, নিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা, দক্ষ জনবল আর নারীর ক্ষমতায়ন। এই ৪ নীতিই মূলত বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে তুলে দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :