দেবদুলাল মুন্না:[২] তিনি এ কথা গতকাল দ্য হিন্দু বিজনেস লাইনে বলেন। রাশিদা ভগত ভারতের প্রভাবশালী সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি আরও বলেন, এই রেমিটেন্স বেশি আসছে কম মজুরির শ্রমিকদের কাছ থেকে। গত বছর বাংলাদেশ ১৮০০ কোটি ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে। করোনা মহামারিকালে এটা বড় একটি সহায়।
[৩] তিনি জানান, ২০০৬ সালে পাকিস্তানের জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের জিডিপি। তবে অনেকে একে আকস্মিকতা হিসেবে দেখেছেন। তারা এমন প্রবৃদ্ধিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তখন থেকে প্রতি বছর পাকিস্তানকে অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। বিস্ময়করভাবে এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অন্যতম বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় প্রবৃদ্ধি প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের খুব কাছাকাছি। আর পাকিস্তানের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বেশি।
[৪] তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে এখন বাংলাদেশে বড়ো ধনিক গোষ্ঠীর বিকাশ হয়েছে। এটি খুবই ইতিবাচক। বাংলাদেশিদের কারিগরী বুদ্ধিমত্ত্বাও প্রশংসার। গার্মেন্টস ক্ষেত্রে বড়ো ভুমিকা রাখছে তারা। বাংলাদেশের নারীরা এখন আর ঘরে বসে নেই।
[৫] রাশিদা ভগত জানান, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাকসহ এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর নারীদের মুক্তি দিয়েছে। তারা এখন স্বাবলম্বী। তিনি ঢাকা দুবার সফরের সময় ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সেই কথাও জানান।