ডেস্ক নিউজ: বাগেরহাটের হযরত খানজাহান আলীর (রঃ) মাজারের কুমির কালাপাহাড় এক বছর পর ফের ডিম দিয়েছে। মাজারের দীঘির পূর্বপাড়ের একটি বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে ৪০-৪৫টি ডিম দেয় কুমিরটি।এর আগে, ২০২০ সালের এই সময় মাজারের খাদেম শাহাদৎ ফকিরের বাড়িতে ৪০টি ডিম দিয়েছিল কালাপাহাড়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীঘির পূর্বপাড়ে একটি গর্তের উপর বসে ডিমে তা দিচ্ছে কুমিরটি। সে দৃশ্য দেখতে মাজারে আসা দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন ওই বাড়িতে। অনেকে হাঁস-মুরগি নিয়ে এসেছেন কুমিরকে খাওয়ানোর জন্য। তবে কাছে ভিড়তে পারছেন না কেউ। গর্জন করে সবাই দূরে থাকার সংকেত দিচ্ছে কালাপাহাড়।
২০ বছর ধরে মাজারের কুমির একাধিকবার ডিম দিলেও তা থেকে বাচ্চা ফোটেনি। এবার কুমিরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে বলে আশাবাদী মাজারের খাদেমসহ স্থানীয় লোকজন।দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা বীনা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে শুনতে পাই কুমির কালাপাহাড় বাড়ির উঠানে মাটি খুঁড়ছে। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি ডিম পাড়ছে কুমিরটি।
মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলেন, এ দীঘিতে কালাপাহাড় ও ধলাপাহাড় নামে দুটি কুমির লালন-পালন করতেন খানজাহান আলী (রঃ)। এদের বংশধররা বেঁচে নেই। পরে ভারতের মাদ্রাজের ক্রোকোডাইল ফার্ম থেকে মিঠাপানির কুমির আনা হয়।
বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, পুরুষ কুমিরটির অতিরিক্ত খাবার খাওয়া আর বয়সের কারণে মা কুমিরটি ডিম দিলেও, তা থেকে বাচ্চা ফুটছে না। আগে একবার কুমিরের ডিম ইনকিউবেটরে রেখে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ধলাপাহাড়ের বাচ্চা জন্ম দেয়ার সক্ষমতা না থাকায় মা কুমিরটির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটছে না। দেশ-বিদেশের কুমির বিশেষজ্ঞরা মাজারে এসে কুমির পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন- দ্রুত প্রাপ্তবয়স্ক একটি মিঠাপানির পুরুষ কুমির দিঘিতে ছাড়লে সমস্যার সমাধান হবে।ডেইলি বাংলাদেশ