আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বয়কটের ভীড়ে স্বশস্ত্রবাহিনী দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতসহ মাত্র ৮ দেশের প্রতিনিধি। শনিবার মিয়ানমারে ছিলো স্বশস্ত্রবাহিনী দিবস। প্রতিবছরই অত্যন্ত ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী এই দিবসকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে পালন করে। তবে এবার মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ উৎসব করছিলেন না। সেনাবাহিনী ও তাদের পদানত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বুক পেতে নিতে ব্যস্ত ছিলেন তারা।
[৩] দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে শনিবার নেপিইদোতে বার্ষিক কুচকাওয়াজ করেছে। গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর সামরিক বাহিনীর অভিযানের কারণে এ বছর অনেক দেশই কুচকাওয়াজের ওই রাষ্ট্রীয় আয়োজনে প্রতিনিধি পাঠায়নি। ইরাবতি
[৪] ওই কুচকাওয়াজে বিশ্বের মাত্র আটটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। যোগ দেয়া রাষ্ট্রসমূহ হলো- রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, লাওস এবং থাইল্যান্ড। একমাত্র রাশিয়া বাদে বাকি সাতটি দেশের প্রতিনিধিরা সবাই সামরিক অ্যাটাশে ছিলেন। রাশিয়ার হয়ে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন। রয়টার্স
[৫] কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানটি দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। দেশটির বিক্ষোভরত জনগণকে সামরিক বাহিনীর শক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য ওই সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। মিয়ানমারে প্রতিবছর ২৭শে মার্চ দিনটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৪৫ সালে মিয়ানমারে জাপানি উপনিবেশের বিরুদ্ধে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিদ্রোহের ঘটনার স্মরণে পালন করা হয় দিনটিকে। নিকি এশিয়ান রিভিউ
আপনার মতামত লিখুন :