দেবদুলাল মুন্না:[২] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রহমান গতকাল ডিডাবিøউ মিডিয়া নেটকে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ক‚টনৈতিক দূরদর্শিতা থাকার কারণেই ১৯৭৫ সালের প্রথম দিকে কে এম কায়সারকে চীনে পাঠিয়েছিলেন, চীন যাতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় তা নিশ্চিত করতে। তিনি এটাও উপলব্ধি করেছিলেন যে, ইসলামি বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক জরুরি। আর সে কারণেই তিনি ওআইসি সম্মেলনে গিয়েছিলেন।
[৩]পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে স্থায়ী কোনো বন্ধু থাকে না, স্থায়ী কোনো শত্রæ থাকে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় চীন আমাদের তীব্র বিরোধিতা করলেও এখন সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। আমার স্বার্থে যাকে প্রয়োজন, তার সঙ্গেই সম্পর্ক করা।
[৪] সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন সাউথ এশিয়ান মনিটরকে বলেন, পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবসে ইমরান খানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানানোটা আনুষ্ঠানিকতা৷ এটা দিয়ে বন্ধুত্ব বা শত্রæতা নির্ধারণ করা যায় না৷ রিপাবলিক দিবসে এক দেশ আরেক দেশকে শুভেচ্ছা জানায়৷ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না হলেও জানায়৷
[৫] তিনি বলেন, ভারতের সাথেও আমাদের সুসম্পর্ক রাখতে হবে৷ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ভারত৷ আমাদের দেশের তিন দিকে তাদের অবস্থান৷কিন্তু বাংলাদেশের যে বিনিয়োগ দরকার, অবকাঠামো দরকার সেখানে ভারত তেমন কিছুই দিতে পারবে না৷ তাই চীনকে আমাদের লাগছে৷ তবে ভারতও চীনের দিকে বাংলাদেশের নির্ভরতা কমানোর জন্য আরও সাহায্য আমাদের করবে বলেই ধারণা।
আপনার মতামত লিখুন :