মনজুর আহমেদ: [২] নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে হরতাল সমর্থদের সঙ্গে পুলিশের ধফায় দফায় সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় শাকিল (৩২) নামে ১ জন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
[৩] গুলিবিদ্ধ শাকিলসহ গুরুতর আহত অবস্থায় শফিকুল (৫৩) নামে এ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
[৪] অপর দিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের পাইনাদি এলাকায় একটি বাস, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি ট্রাকে আগুন দেয়।
[৫] সরজমিনে দেখা গেছে, রোববার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে হেফাজতের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সাইনবোর্ড, সানাড়পাড়, মৌচাক, পাইনাদি, মাদানিনগর মাদ্রাসার, শিমরাইল ইউটার্ন এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন। সড়কের কয়েকটি স্থানে টায়ার, গাছের গুঁড়ি, বাঁশ, কাঠ, চৌকি, বেঞ্চসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে এবং মহাসড়কের যানবাহন চলাচলে বাধা দেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে। এ সময় হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ওপর বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ার শেল ও শট গানের গুলি ছুঁড়েছে।
[৬] এদিকে, হরতালকে কেন্দ্র করে শহরের ডিআইটি, চাষাঢ়া, সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বিজিবি ও র্যাব।
[৭] জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হেফাজতের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই মহাসড়কে অবস্থান নেয়। হরতালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মহাসড়ক এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
[৮] ঢাকা-চট্রগ্রামে মহাসড়কের সন্ধা ৬টা দিকে কুয়েত প্লাজার সামনে একাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ দেওয়া হয়। এর আগে পুলিশেল সংঙ্গে হরতাল সমথনকারীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্দ্রণে আনতে টিয়ার সেল নিক্ষেপ ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এক পরযায় পুলিশ পিছু হটলে হেফাজত কমীরা গাড়িগুলোতে আগুন দেয়। মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। পুরো সড়ক হরতাল
সমথনকারীদের দখলে রয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :