মাসুদ আলম: [২] শনিবার দুপুরে বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিবআরও বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে যদি সন্ত্রাসী পেটোয়া বাহিনী হামলা করে বাধা দেয়, সন্ত্রাসের ভয়াল রাজত্ব কায়েম রাখার চেষ্টা করে তবে গোটা বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। আর এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। হরতালে বাধা দেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
[৩] তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের চারজন ভাই শহীদ হয়েছেন। তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহতদের পথে পথে ফের হামলা করা হয়েছে। আমাদের আহত সন্তানরা চিকিৎসা পর্যন্ত পায়নি। যে কারণে শনিবারের বিক্ষোভ। রোববার টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হবে। জনতার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, জনতা রাজপথে নেমে এলে হেলমেট বাহিনী আর পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না।
[৪] তিনি আরও বলেন,স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন যে এমন বিষাদময়, দুঃখজনক হবে তা ভাবিনি। আমাদের সন্তানদের রক্তে মানচিত্র রক্তাক্ত হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই মোদিকে এনে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে কলঙ্কিত না করার জন্য সরকারকে সতর্ক করেছিলাম। তাকে বাংলাদেশে আনতে নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু জানি না সরকার কোন দায়ে দায়বদ্ধ হয়ে তাকে আনলেন।
[৫] মামুনুল হক বলেন, সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনকে সম্মান রেখে কোনো কর্মসূচি দেইনি। কিন্তু বিনিময়ে আমরা কী পেলাম! রক্ত আর লাশ। বাধ্য হয়ে হেফাজত আমির কর্মসূচি দিয়েছেন, রাজপথে নেমে এসেছেন। আগামীকাল যদি আবারও হেলমেট পেটোয়া বাহিনী এভাবে বাধা দেয়, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা করে তবে সারাদেশের সব শ্রেণীর মানুষ রাজপথে নেমে আসবে।
আপনার মতামত লিখুন :