আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] মোদি আরও বললেন, এটি আমার জীবনের সেরা সময়ের একটি। বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাকে ডাকায় আমি অভিভূত। এ বছর বাংলাদেশ ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্ণ হবে। জাতির পিতার জন্মদিন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করছে।
[৩] মোদি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। আমি সব ভারতীয়র তরফ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও এখানকার মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তাকে গান্ধী শান্তি সম্মান দিতে পেরে গর্বিত। ইন্দিরা গান্ধীর সিদ্ধান্ত ও বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ইচ্ছা ছিলো সর্বজনবিদিত।
[৪] ‘আজ স্মরণ করছি লাখো বাংলাদেশিকে। যারা নিজ দেশ, ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য অত্যাচার সহ্য করেছেন, রক্ত দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের বীরদের স্মরণ করি, স্মরণ করি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে, রফিকুদ্দিন আহমেদকে, সকল ভাষা শহীদদের। ভারতীয় সেনার বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী, যারা মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের রক্ত দিয়েছেন।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অপারেশন সার্চলাইটের ব্যাপারে যতোটা আলোচনা হওয়া উচিৎ ছিলো বিশ্ব ততোটা করেনি।
[৫] মোদি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে একটি কথা মনে করাতে চাই। আমি ২০-২২ বছর বয়সে সত্যাগ্রহ করেছি। আমি সেসময় গ্রেপ্তার হয়ে প্রথমবারের মতো জেলে যাই। বাংলাদেশের জন্য এপারের মানুষ যেমন করেছে ওপারের মানুষও করেছে। পাকিস্তানিদের অত্যাচারের ছবি দেখে ঘুমাতে পারতাম না। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা আমরা তোমাদের ভুলবো না।’
[৬] বাংলাদেশের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ৫০ জন বাংলাদেশি উদ্যোক্তাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানান মোদি। ভারত বাংলাদেশ মিলেমিশে দ্রুতগুততে উন্নতি করবে। এই অঞ্চলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এই দুই দেশের কোনও বিকল্প নেই। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব