লিহান লিমা: [২] আসছে দশকগুলোতে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়লেও তা মানুষের সহনশীলতার বাইরে চলে যাবে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। হিন্দুস্তান টাইমস
[৩] জিওগ্রাফিকাল রিসার্চ লেটারস সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, দক্ষিণ এশীয় জনপদের জন্য এই তাপমাত্রা মারাত্মক প্রাণঘাতী হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার সংকট রয়েছে। ৬০ শতাংশ মানুষ ঘরের বাইরে কৃষি কাজ করেন। তাপদাহ বৃদ্ধি পেলে অধিকাংশ ফসল উৎপাদনকারী স্থানই কাজের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে। কেন্দ্রীয় নগর এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলোও এই প্রাণঘাতী তাপদাহ থেকে নিস্তার পাবে না।
[৪] গবেষণার সহ-লেখক মুহতাসিম আশফাক জানান, ‘১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস পরিবর্তনেও দক্ষিণ এশিয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিণাম হবে ভয়াবহ। তাই উষ্ণতা বৃদ্ধি যতটুকু কমানো যায় ততটুকু কমাতে তড়িৎ পদক্ষেপ প্রয়োজন। আমাদের কাছে আর কোনো দ্বিতীয় বিকল্প পথ নেই। গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের বর্তমান মাত্রায় শীঘ্রই আমূল পরিবর্তন আনতে হবে।’
[৫] ইতোমধ্যেই তাপদাহের শিকার হয়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ব্যাপক ক্ষতি গুণতে হয়েছে। ২০১৯ সালে তাপদাহের কারণে ১৮.২ বিলিয়ন কর্মঘণ্টা হারিয়েছে বাংলাদেশ।
[৬] গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় দুই ডিগ্রী তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করার সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। প্রাণঘাতী তাপমাত্রায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে ২.৭ গুণ। ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওয়েট বাল্ব তাপমাত্রায় কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। এটি ৩৫ ডিগ্রীর বেশি হলে মানুষের শরীর আর স্বয়ংক্রিয়ভাবে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে পারবে না। যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :