ইমরুল শাহেদ: প্রেম বিয়ে বিষয়টি চিরন্তন হলেও তারকা জগতকে ভিন্নভাবে দেখতে ভালোবাসে তাদের ভক্ত-অনুরাগীরা। তারা চায়, তাদের স্বপ্নের মানুষটি সকলের। তিনি তো এককভাবে কারো হতে পারেন না। এজন্য ভক্ত-অনুরাগীরা চান না তাদের স্বপ্নের মানুষটি কাউকে বিয়ে করেন। ববিতাকে দেখা গেছে আইবুড়ো হয়ে বিয়ে করতে। কিন্তু শবনম বিয়ে করলেও স্বামীকে নিয়ে পাকিস্তান চলে যান। সেখানে তিনি উর্দু ছবির ইন্ডাষ্ট্রিতে স্থায়ী হন।

বিয়ে করে চলচ্চিত্রে এলে কোনো সমস্যা সচরাচর হয় না। চম্পা বিবাহিত ছিলেন। তার কোনো অসুবিধা হয়নি। এভাবে অনেক ঘটনাই তুলে ধরা যেতে পারে। তবে এটাও স্পষ্ট যে, তারকাদের মধ্যে যারাই প্রেম বা বিয়ে করেন তারা দ্রুতই দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যান। এখানে মৌসুমী ও ওমর সানি দম্পতির কথা তুলে ধরা যেতে পারে। বিয়ের পর মৌসুমী দীর্ঘদিন কাজের বাইরে ছিলেন। তিনি এফডিসিতে আসতেন সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়া কারো কাছ থেকে ছবির অফার পাননি। অনেকদিন অপেক্ষা ও বেগ পাওয়ার পর তিনি আবার ছবির কাজে ফিরে আসেন। তবে ওমর সানি আর ফিরে আসতে পারেননি।

কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে পপি বলেছেন ‘বিয়ে করা কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু প্রেম-বিয়ে বিষয়ের গুজব দিয়ে তারকাদের তাড়িত করা বা মানসিক চাপ সৃষ্টি করা অপরাধ।’

এর মধ্যেই মুনমুন বিয়ে করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি এ রিপোর্টারকে কথা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমার বিয়ের বয়স কি শেষ হয়ে গেছে? কেন আমি বিয়ে করতে পারব না?’ এর কয়েক মাস আগে তার ডিভোর্স হয়েছে এবং তার একাধিক বিয়ের ঘটনাও আছে।

বিয়ে করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন তেজী ছবির নায়িকা একাও। তবে তিনি বিদেশি বর চান। একা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বিয়ে করে সকলের চোখের আড়ালে চলে যাব। দেশেই থাকব না। এজন্যই আমি বিদেশি বর খুঁজছি।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে, এখন যারা চলচ্চিত্রশিল্পে কাজ করছেন তাদের একজন এ রিপোর্টারকে বলেন, ‘খুব মানসিক চাপে। ইন্ড্রাষ্ট্রিতেও কিছু হচ্ছে না। ছবি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে নানা ধরনের অফার পাই। ছবি কি করব? বাসা থেকে বিয়ের জন্যও চাপ দিচ্ছে। কি করব বুঝতে পারছি না।’ উঠতি নায়িকাদের বেশির ভাগই এভাবে দোদুল্যমানতায় রয়েছেন।