সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর মিরপুর ও সাভারে অভিযান চালিয়ে ছয়টি বিদেশি পিস্তল ও ৪৮ রাউন্ড গুলিসহ পাঁচজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সজিব কবিরাজ (৩১), কুমকুম আক্তার (২৫), আরব আলী ওরফে নয়ন (২৮), শাহীন (২৭), ও মনজুর আলম (৩৪)।
[৩] তাদের কাছ থেকে ৬টি বিদেশী পিস্তল, ১২টি ম্যাগাজিন, ৪৮ রাউন্ড গুলি, ৬টি হেমার, ৭টি ব্যাটন (লাঠি), ৫ হাজার পিস ইয়াবা, মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ১টি মোটরসাইকেল ও ১টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।
[৪] বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিরপুরের পীরেরবাগ এবং সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
[৫] র্যাব-৪ জানায়, প্রথমে রাজধানীর শ্যামলীর একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সজিব কবিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে হেমায়েতপুরে সজিবের তিনতলা সুরম্য বাড়ি আলমারির বিশেষ চেম্বার থেকে তিনটি অস্ত্র, ৬টি ম্যাগাজিন, ২৪ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার পিস ইয়াবা, তার প্রাইভেট কার থেকে ৫০০পিস ইয়াবাসহ ড্রাইভার আরব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে তার ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলের সিটের নিচ থেকে ৪৫০পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যে মিরপুরের পীরেরবাগে অবস্থিত নিজ বাসার ২য় তলায় একটি ট্রাভেল ব্যাগ থেকে ৩টি বিদেশী পিস্তল, ৬ টি ম্যাগাজিন, ২৪ রাউন্ড গুলি, ১০০০ পিস ইয়াবা এবং ২য় তলার টর্চার সেল থেকে ৭টি ব্যাটন (লাঠি), ৬টি হ্যামার উদ্ধার করা হয়। সজিবের দেওয়া তথ্যে খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা শাহীনকে ৫০পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয় এবং কক্সবাজার থেকে রেক্টামে লুকায়িত ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ মনজুরুলকে শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৬] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাবকে জানিয়েছেন, সজিব কবিরাজ অষ্টম শ্রেণী পাশ করে জীবনের শুরুতে কবিরাজি পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পীরেরবাগ এলাকায় কবিরাজ হিসেবে পরিচিত। পরে তিনি মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এবং যশোর থেকে অস্ত্র আনা শুরু করেন। মিরপুর ও হেমায়েতপুর এলাকায় শীর্ষ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে কুখ্যাতি লাভ করেন।
[৭] র্যাব-৪ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সজিব একটি শীর্ষ স্থানীয় মাদক কারবারী এবং অস্ত্রধারী দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী হওয়ায় সাধারণ জনগণ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস করতো না এবং কেউ কোনো অভিযোগ করলে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতিসহ জান-মালের ক্ষতি করতেন। এমনকি কোনও খুচরা মাদক ব্যবসায়ী টাকা পরিশোধ না করলে বা বাহকের কাজ করতে না চাইলে বা কথামত না চললে তার নিজস্ব টর্চার সেলে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া হতো। এর জন্য তার আলাদা ক্যাডার বাহিনী আছে বলে জানা যায়। সজিবের নামে বিভিন্ন থানায় ৪টি মাদক মামলা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :