ইমরুল শাহেদ: তিনি আরো বলেন, ‘এক পশলা বৃষ্টির পর শাপলা মিডিয়ার দ্বিতীয় ধাপের দশ ছবির কোনোটিতে এখন পর্যন্ত কাজ করছি না। কিন্তু আমি কাজ করতে চাই। তাদের গল্পগুলো খুব সুন্দর। আমার কাছে যে ছবিগুলোর অফার আসছে, তার প্রতিটিই ভালো এবং আমার কেন্দ্রিক। আমিও ছবিগুলো করতে চাই। কিন্তু মনের মতো হিরো পাচ্ছি না। আমাকে নেওয়া হচ্ছে প্রধান চরিত্রে। এখানে হিরো কোনো সমস্যা নয়। তারপরও একটি ভালো কাজ করতে গেলে পাশে ভালো একজনকে প্রয়োজন হয়। সেজন্য এই লটে আমার কাজ করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে সুন্দর একটি গল্প দিয়েছে। আমি বলেছি - দেখি। আসলে অই একটি কারণে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।’ শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের জাফর আল মামুন পরিচালিত ‘এক পশলা বৃষ্টি’ ছবিতে একজন ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আচল। এ ছবিতে তার বিপরীতে রয়েছেন কায়েস আরজু। তার কয়েকদিন আগে আচল ও জয় চৌধুরী শেষ করেছেন মনতাজুর রহমান আকবরের ‘আয়না’ ছবিটি। এই ছবিটি সীমিত বাজেটে নির্মিত হয়েছে।
তারও আগে আচল ও জয় চৌধুরী ‘আজব প্রেম’ নামে একটি ছবিতে কাজ করেছেন। আয়না ছবিতে আচল একটি ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ছবিতে আচলের চরিত্র নিয়ে মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, ‘অর্থাভাবে মানুষের বাড়িতে কাজ করে আয়না। এক সময় সে জমিদারের কু-নজরে পড়ে। এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এভাবেই সিনেমার গল্প এগিয়ে যায়।’ ছবিটির চিত্রায়নের সময়ই আচল বলেছেন, ‘প্রথমবারের মতো নাম ভূমিকায় অভিনয় করছি।
গল্পটিই ছবিটি করতে আমাকে আগ্রহী করেছে। গ্রামীণ পটভূমি নিয়ে ছবির গল্প। আয়না চলচ্চিত্রের জন্য নিজেকে নতুন করে প্রস্তুত করেছি।’ অর্থাৎ চরিত্রানুসারে নিজেকে ভাঙ্গার মতো মন-মানসিকতা ও প্রস্তুতি আচলের মধ্যে রয়েছে। আচল অভিনীত এই পর্যন্ত ১৭টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ২০১১ সালে রাজু আহম্মেদের ‘ভুল’ ছবিটি দিয়ে আচলের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এরপর তিনি মাসুদ কায়নাতের বেইলি রোড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল না হলেও আলোচনায় চলে আসেন আচল। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আয়না, রাগীসহ আরো দু’একটি ছবি।
আপনার মতামত লিখুন :