শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:৪৩ রাত
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:৪৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিউজপ্রিন্টে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি করেছে নোয়াব

নিউজ ডেস্ক: সংবাদপত্রশিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত নিউজপ্রিন্ট আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। এ ছাড়া নোয়াবের পক্ষ থেকে বর্তমান সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের ওপরে আরোপিত সাড়ে ৩২ শতাংশ করপোরেট কর কমিয়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।

বুধবার আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে নোয়াব নেতারা এ দাবি জানান। নোয়াবের পক্ষে দাবিগুলো উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি ও সমকাল–এর প্রকাশক এ কে আজাদ। নোয়াবের দাবি, করোনার কারণে এক বছর ধরে সংবাদপত্রশিল্প ধুঁকছে। প্রচারসংখ্যা কমে গেছে।

অনলাইনে ভার্চ্যুয়াল উপায়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সংবাদপত্রের মূল কাঁচামাল হলো কাগজ। কিছু শিল্পের মূল কাঁচামালের ওপর শূন্য শুল্ক আছে। কিন্তু সংবাদপত্রের কাঁচামাল কাগজের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এর পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। করোনার কারণে এখন সংবাদপত্র প্রকাশের খরচ মেটানো অসাধ্য হয়ে পড়েছে।

নোয়াবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্‌ফুজ আনাম বলেন, ‘করোনা সংবাদপত্রশিল্পে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা এনবিআরের সহায়তা চাই।’ তিনি কাগজের আমদানি শুল্ক ও করপোরেট কর কমানোর দাবি জানান।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নোয়াব সদস্য ও সংবাদ–এর সম্পাদক আলতামাশ কবির, বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।

নোয়াবের দাবিদাওয়া সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘নোয়াবের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে যৌক্তিক হলে বিবেচনার চেষ্টা করা হবে। কাগজের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যখন শুল্ক বসানো হয়, তখন স্থানীয় শিল্পকে রক্ষার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। এ দেশে কয়েকটি কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আছে। আমার জানা নেই, তারা মানসম্পন্ন কাগজ উৎপাদন করতে পারে কি না।’

একই অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) বাজেট প্রস্তাব দেয়। অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু সংবাদপত্রের মতো টিভি চ্যানেলকেও শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে টেলিভিশন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন পর্যায়ে ১০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়। কিন্তু পরে তা করপোরেট করের সঙ্গে সমন্বয় করা যায় না।

অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক, আলমগীর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়