ইমরুল শাহেদ: শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল প্রযোজিত ও পরিবেশিত একটি ছবির পোস্টারে ভরে গেছে এফডিসি। এমন কি ব্যানারটি এফডিসির প্রশাসনিক ভবনের ওপরও শোভা পাচ্ছে। ছবিটি হলো ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’। পরিচালক হিসেবে ছবিটিতে নাম আছে শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের। চিত্রনাট্যকার হিসেবে রয়েছে শামীম আহমেদ রনির নাম। আলোচনার সূত্রপাত এখান থেকেই। পরিচালক সমিতির সামনে বসে বেশ কয়েকজন নির্মাতা বর্তমান সময়ে নির্মিত ছবিগুলোর বিষয়বস্তু, নির্মাণশৈলী, চিত্রনাট্যের দূর্বলতা, সংলাপের অসামঞ্জস্যতা নিয়ে তুখুড় আলোচনা করছিলেন।
তবে তাদের একজন বলেন, তাদের আলোচনা নিয়ে কোনো প্রতিবেদন করা হলেও তাদের কারো নাম যেন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা না হয়। একজন আলোচক বলেন, তিনি মহামারীর প্রাবল্যের সময়ে গত দুই থেকে তিন বছরে নির্মিত প্রায় ৫০টির মতো ছবি দেখেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কেন দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে টাকা খরচ করবে? প্রত্যেক নির্মাতাই মনে করেন তিনি শ্রেষ্ঠ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। কিন্তু তার ছবিটি তার কাছে ভালো লাগলেও দর্শকের ভালো লাগার মতো কোনো উপজীব্য ওইসব ছবিতে নেই।
স্বভাবতই দর্শক এ ছবি দেখতে হলে যাবে না। আরেকজন আলোচক বলেন, তিনিও অনেক ছবি দেখেছেন। তার দেখা ছবিগুলোতে কোনো রাতের দৃশ্য খুঁজে পাননি তিনি। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রাতের দৃশ্য গ্রহণ করতে হলে জেনারেটর লাগবে, লাইট লাগবে, আরো আনুষঙ্গিকতো রয়েছেই। এজন্য অনেক টাকার দরকার। ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকায় ছবি বানাতে গেলে সেটা করা যায় না। এখনকার চলচ্চিত্র হলো ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ ধরনের।
কোনো ছবিতেই চিত্রনাট্যের ধারাবাহিকতা নেই, সংলাপেরও নেই ধারাবাহিকতা। নির্মাণে ফাঁকি দেওয়ার জন্য ‘ইমপ্রোভাইস’ বা নিজে নিজে করার একটা প্রথা চালু আছে। তাতে একটি চিত্রনাট্য নিয়ে দীর্ঘ সময়ের টেবিল ওয়ার্কের আর কোনো মূল্য থাকে না। তবে তাদের এই দীর্ঘ আলোচনার উপসংহার হলো, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপোষ করা হলে এবং চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনা না হলে, কেজিএফ ছবির গেটআপ ধারণ করেও ছবি দর্শক পছন্দের করে তোলা যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :