সালেহ্ বিপ্লব: [২] দুদেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। সুদীর্ঘ সীমান্তের অনেক স্থানেই বেশ কটি নদী দুদেশকে আলাদা করেছে। আন্তর্জাতিক সীমারেখা এসব নদীর বুক চিরে গেলেও সীমান্তে দুই দেশকে সংযুক্ত করেছে - এমন কোনো সেতু কিন্তু এতদিন ছিলো না। ফেনী নদীর উপর এই সেতু সেই হিসেবে দুদেশের মধ্যে এক ঐতিহাসিক বন্ধনের স্মারক হয়ে থাকবে। সেতুর ভারত প্রান্তে ত্রিপুরার সাবরুম, বাংলাদেশ প্রান্তে খাগড়াছড়ির রামগড়।
[৩] ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ১.৯ কিলোমিটার লম্বা সেতুটি নির্মাণ করেছে ভারতের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এনএইচআইডিসিএল। নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩৩ কোটি রুপি। সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর। ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস
[৪] দুপুর বারোটায় ভার্চুয়ালি মৈত্রী সেতু উদ্বোধন ছাড়াও বেশ কিছু সড়ক ও শুল্ক দপ্তর উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন নরেন্দ্র মোদি। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সাবরুমে আধুনিক শুল্ক বন্দর, আগরতলা শহরে ডিজিটাল মাধ্যমে পুলিশসহ সরকারি দপ্তরের মধ্যে সুসংহত যোগাযোগ ব্যবস্থা, আগরতলা-উদয়পুর ও কৈলা শহর খোওয়াই সড়ক। এবিপি
[৫] সোমবারের বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তর থেকে আরও বলা হয়েছে, এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ত্রিপুরা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার। ত্রিপুরা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব হবে মাত্র ৮০ কিলোমিটার, এ কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে আশা করা হয়েছে, ভবিষ্যতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হবে। লাইভমিন্ট
[৬] এদিকে বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বলেছেন, এই একটা সেতুই ত্রিপুরা রাজ্যকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গেটওয়ে বা প্রবেশপথে পরিণত করবে।