এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় জোড়া খুনের একটি মামলায় সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। মাসুদ রানা নামের ওই চেয়ারম্যান সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম তার আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
[৩] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের পুলিশের পরিদর্শক কাজী মো. দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৭ সালের একটি জোড়া খুনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
[৪] আদালত সূত্রে জানা যায়, সাবেক বিজিবি সদস্য ইয়াছিন মিয়া ও তাঁর ভায়েরা ভাই এনামুল হক ২০১৭ সালের ১ মার্চ নবীনগর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। তাঁরা দুইজনই উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের রসুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
[৫] নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ, মোটসরাইকেল নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম ভাই ও সাতমোড়া ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদ রানা তাঁর সহযোগীদের নিয়ে ইয়াছিন এবং এনামুলকে খুন করেন। হত্যার পর এই হত্যাকান্ডকে ‘গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা। তখন নবীনগর থানা পুলিশও হত্যা মামলা নেয়নি।
[৬] এরপর এনামুল হকের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্তের পর সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানাসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী