ইমরুল শাহেদ: এই পরিচালক বেশ আয়েশ করেই আড্ডা দিচ্ছিলেন এফডিসিতে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির রিটায়ারিং রুমে। হঠাৎ একটি ফোন পুরো দৃশ্যপট পাল্টে দেয়। তার হাসি-খুশি মেজাজ মুহূর্তেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। স্বভাবসুলভভাবেই তিনি নানা নেতিবাচক শব্দ উচ্চারণে পরিবেশ ঘোলাটে করে তোলেন। তিনি রিপোর্টারকে বলেন, ‘আমার তুমি আছো তুমি নেই ছবিটি আগামী সপ্তাহে মুক্তি পাবে। সবে এটির ট্রেলার ও পোস্টার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এতেই নানা নেতিবাচক প্রচার শুরু হয়েছে। কিন্তু যারা নানা মাধ্যমে এসব প্রচার চালান তারা একটুও ভাবেন না যে, তাদের লেখালেখি আমার ছবির ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
তাদের কারণে আমার ছবির ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় কি তারা নেবেন? আমি যদি এসব লেখালেখির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেই তাহলে তারা কি করবেন?’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এখন যে ফোনটা এলো সেটা করেছে দীঘি। সে আমাকে বলছে, তার কোন মামা বলেছে ছবিটা করে সে সমালোচনার মধ্যে পড়েছে। আমি তাকে বললাম তোমার যে মামা বলেছে তার ফোন নাম্বার দাও, না হয় তাকে বলো আমাকে ফোন দিতে। তার সঙ্গে আমি কথা বলি।’ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘আমার ছবিটি সেন্সরে দেখার পর সদস্যরা বলেছেন, অনেকদিন পর তারা সুন্দর একটি রোমান্টিক ছবি দেখেছেন।
ছবি না দেখে কেউ যদি ছবির মেরিট নিয়ে আগাম লেখালেখি করেন তাহলে ছবিটি কি ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না?’ সম্প্রতি ৮৩ ছবির নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ছবির ট্রেলার প্রকাশ করা হয়েছে ইউটিউবে। কিন্তু ট্রেলারটি দেখে দর্শকের মন ভরেনি। সবাই সমালোচনা মুখর হয়েছেন। অথচ ছবি শুরুর পর্যায়ে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেছিলেন, ‘নতুন একটি ছবি নির্মাণ করতে যাচ্ছি। ছবিটির নাম ‘তুমি আছো তুমি নেই’। রোমান্টিক গল্পের ছবি এটি। আমার ক্যারিয়ারে যতগুলো সিনেমা বানিয়েছি তার মধ্যে এটি সবচেয়ে ভালো ও ব্যবসা সফল ছবি হবে বলে আমি মনে করি। আর হতে পারে এটিই আমার শেষ সিনেমা।’
আপনার মতামত লিখুন :