মোহাম্মদ হোসেন: চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌর সদরের পশ্চিম পাহাড়ের সড়কের পার্শ্বে এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই)।
পাহাড়ি প্রকৃতির রূপের আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে ভীষণ প্রিয় এর পাশে রয়েছে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও হর্টিকালচার সেন্টার । ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসেই অবস্থিত ইনস্টিটিউটের একটি মসজিদ। তাছাড়া এটিআই এর নিজস্ব
জমিতে রয়েছে একটি পুরাতন দর্শণীয় পুকুর,আবাসিক ভবন,ছাত্র/ছাত্রীদের পৃথক পৃথক হোস্টেল যা সর্বস্তরের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করে। ক্যাম্পস প্রবেশ দ্বারে ফুল বাগান এ ছাড়া আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ অব্যাহত থাকায় শিক্ষার
পরিবেশসহ ইনস্টিটিউটে কৃষি সম্প্রসারণের একটি প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৮ কি.মি দূরে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত এই কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিভিশনাল পর্যায়ের একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৯
খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মূলত: শুরু হয় ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্লক পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়োজিত প্রাক চাকুরি শিক্ষার্থীদের এই প্রতিষ্ঠানে দুই বছর মেয়াদি যুগোপযোগী কৃষি প্রশিক্ষণ কোর্স প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পাদন করা হতো । পরবর্তীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিসিএস কৃষি ক্যাডার কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে এই প্রতিষ্ঠানে ১৯৯৫-১৯৯৬ সেশন থেকে তিন বছর মেয়াদি (৬ সেমিষ্টার)কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাক্রম এবং ২০০১-০২ সেশন থেকে ৪ বছর মেয়াদি (৮ সেমিষ্টার) কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে ।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে কথা হয় অধ্যক্ষ পরেশ কুমার রায় এর সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,শিক্ষক সংকটের কারনে অনেক সময় নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
যেমন মুখ্য প্রশিক্ষক ৫জন শূণ্যপদ রয়েছে সেখানে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি,প্রশিক্ষক ৬ জনের স্থলে রয়েছে মাত্র ২ জন। প্রায় ৩৬ একর জায়গায় রয়েছে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। বর্তমানে পরীক্ষা চলমান রয়েছে,২য় পর্ব ২১১ জন,৪র্থ ২০৯ জন ও ৬ষ্ট ১৪০জন।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১ হাজার ২৮জন।শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য রয়েছে একাডেমিক ভবন, ফিল্ড ল্যাবরেটরী , ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীনিবাস এবং অন্যান্য সহায়ক ভৌত অবকাঠামো ।করোনার কারনে দীর্ঘ দিন
ক্লাস হয়নি তবে এখন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের ও ব্যবহারিক ক্লাশের পাশাপাশি ছাত্রদের মানবিক ও নেতৃত্ব উন্নয়নে অত্র প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন, গার্লস গাইড ও রোভার স্কাউট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ নানা ধরণের কর্মকান্ডের আয়োজন করা।