লিহান লিমা: [২] শনিবার রাতভর রাজধানী ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারী, অধিকার কর্মী ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি দিয়ে তল্লাশি চালায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। রাতভর ধরপাকড় ও তল্লাশি সত্তে¡ও রোববার রাস্তায় নেমে আসেন জান্তা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। গার্ডিয়ান/রয়টার্স
[৩]ফেসবুকে পোস্ট করা লাইভ ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উত্তরাঞ্চলিয় শান রাজ্যের লাশিও শহরে পুরিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন, বেগানের ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের সামনে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিলে পুলিশ তাজা গুলি ছোঁড়ে। মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মানদালেতে বিক্ষোভকারীরা জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশ ও আর্মির গুলিতে প্রাণ হারানো ৫৫জনের স্মরণে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেন। এছাড়াও প্রায় ডজনখানেক শহরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছেন আন্দোলন কারীরা।
[৪]মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের শহর দেওয়াইয়ের বিক্ষোভস্থল হতে এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘তারা পাখির মতো মানুষ মারছে? যদি তাদের বিরুদ্ধে না দাঁড়াই তবে আমরা আর কি করবো? আমাদের অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে। ইয়াঙ্গুনের এক নারী জানান, গত রাতে পুলিশ আমার বাবা ও ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমাদের সাহায্য করার কেউ নেই। ফেসবুক পোস্টে সিথু মায়ুং নামের এক ব্যক্তি বলেন, সেনারা অং সান সু চির দলের এক আইনজীবীকে খুঁজছিলো। কিন্তু তারা তাকে বাড়িতে খুঁজে পায় নি।
[৫]অ্যাসিস্টেনস এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার জানায়, শনিবার পর্যন্ত প্রায় ১৭’শ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আটককৃতদের টেনে-হিঁচড়ে, বুটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী আবাসিক এলাকায় ঢুকে বিক্ষোভরতদের আটক করছে, তাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করছে।
আপনার মতামত লিখুন :